নোয়াখালীতে বার্ন ইউনিট না থাকায়…

বৃহত্তর নোয়াখালীতে বার্ন ইউনিট না থাকায় পেট্রলবোমায় দগ্ধদের চরম দুর্ভোগ। হাসপাতালে আহাজারি করছেন কয়েকজন দগ্ধ রোগী। এ রাজনৈতিক সহিংসতা ও সহিংসতার বাইরেও প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় দগ্ধ হচ্ছেন নারী ও শিশুরা।

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একটি চলন্ত ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকের চালক মো. নূরনবী (২৫) ও চালকের সহকারী জাসেদ (২২) দগ্ধ হন। তাদের দু’জনকে প্রথমে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাদের নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নোয়াখালী আবদুল উকিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) ডা. এএইচএম আবু সুফিয়ান জানান, হেলপারের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

চাটখিল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন জানান, খাগড়াছড়ি থেকে কলাবাহী ট্রাক চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কলা নামিয়ে চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় চাটখিল উপজেলার হালিমা দিঘীরপাড় নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা ট্রাকটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। পেট্রলবোমাটি ট্রাকচালকের কেবিনে গিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে চালক ও চালকের সহকারী দগ্ধ হন এবং ট্রাকটি সড়কের পাশে খালের মধ্যে পড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় দু’জনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে তাদের নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে হেলাপারের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।

চাটখিল থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে একটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। নোয়াখালী আবদুল উকিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আহসান উল্যাহ খান জানান, কুমিপ্রা, ফেনী লক্ষীপুর ও নোয়াখালী জেলায় বার্ন ইউনিট না থাকায় চরম ভোগান্তি আগুনে পোড়া দগ্ধ রোগীদের।

গত মাসেও ১৫ নারী ও শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে রাজনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি কর্মজীবী নারীরা গরম পানিতে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আগুনে ঝলসে যাওয়া রোগীদের জন্য এ বিভাগে ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকলেও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অন্য বিভাগের ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পেট্রলবোমায় দগ্ধ নিরীহ হেলপার জাসেদের শরীরের ৩০% পুড়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিট প্রয়োজন।



মন্তব্য চালু নেই