নোয়াখালীতে সুপ্র’র বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন

নতুন অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে ঘাটতি, পে-স্কেল বাস্তবায়নে বাড়তি অর্থ জোগানোর চাপ, বিনিয়োগ ও রফতানি বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেল ও ভোগ্য পণ্যের দাম কমায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে। তবে আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বাজেট বাস্তবায়নের সফলতা। করের পরিধি বাড়লেও প্রয়োজনীয় সেবাখাত বাস্তবায়নই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

রোববার দুপুরে মাইজদী হাউজিং এস্টেটে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) ও পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান) আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০১৪-১৫ পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সুপ্র’র নোয়াখালীর সভাপতি মন গুপ্ত’র সভাপতিত্বে প্রানের সচিবালয়ে আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বাজেট বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন, প্রানের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এবারের বাজেটও অনেক বেশি ঋণনির্ভর বাজেট। তাছাড়া সম্পদ সংগ্রহের জন্য আয়কর বা প্রত্যক্ষকর বাড়ালেও বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর মত প্রস্তাব গ্রহণ করার ফলশ্র“তিতে বছর শেষে করভার দরিদ্র তৃণমূলের মানুষের কাঁধেই পড়বে। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব^ আয়ের ঘাটতি মাথায় রেখেই প্রায় ৩০.৬২ শতাংশ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। যা অর্জন করা দুঃসাধ্য। এছাড়া, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শিক্ষা বাজেট গত অর্থবছরের তুলনায় টাকার অঙ্কে কিছুটা বাড়লেও শতাংশের হারে ১.৫% কমে যাওয়া খুবই হতাশাজনক এবং শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত এ বাজেট শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট নয়।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ টাকার অঙ্কে বাড়লেও শতকরা হারে কমেছে ০.১%। উপরন্তু বাজেট যেটুকু বৃদ্ধি করা হয়েছে তার সিংহ ভাগ চলে যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনে। স্বাস্থ্যখাতের জন্য প্রস্তাবিত অর্থে দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য খুবই অপ্রতুল। আমরা আশা করছি এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে সরকার সকলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী হবে। সংবাদ সম্মেলনে জেলার স্থানীয় এবং জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।



মন্তব্য চালু নেই