নোয়াখালীতে স্ত্রী হত্যা মামালার আসামী স্বামীকে গ্রেফতার করছে সুধারাম থানা পুলিশ

এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোটার নোয়াখলী : নোয়াখলীর সদর উপজেলায় স্ত্রী হত্যার মামালার প্রধান আসামী শানু আক্তার স্বামীকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কালি বাজার হইতে গ্রেফতার করছে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা পুলিশ, ঘটনা সূত্রে জানাযায় সদর উপজেলার ১নং ইউপি (চর মটুয়া) ব্রক্ষপুর, গ্রামের আছাদ উল্যা মেয়ে শানু আক্তার (২৯) তাহার প্রথম স্বামী কে তালাক দিয়ে নতুন প্রেমের গভীর ভালবাসার টানে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন দীগলদী (শিপালদের বাড়ীর) মৃত রুহুল আমিন তালুকদার, মাতাঃ উম্মে ছালমা এর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ রফিক প্রঃ নজরুল (৩৪) এর সহিত গভির প্রেম ভালবাসার টানে দুই জন এর প্রেমের সম্পর্ক হই, প্রেমের সম্পর্ক জের দরিয়া শানু আক্তার গত ১০ বছর পূর্বে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি মেয়ে হিরা মনি (৭) এবং একটি ছেলে রাহিফ (৪) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ২০ নভেম্বর ২০১৬ ইং তারিখ অনুমানিক রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় আসামী নজরুল ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হইতে নোয়াখালীতে তার স্ত্রী নানার বাড়ীতে আসে। আসামী নজরুল ও তার স্ত্রী খাওয়া দাওয়া শেষে রাত্রে যে কোন সময় শানু আক্তার কে শ^াসরোধ করিয়া হত্যা করে। ২১ নভেম্বর বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময় হিরা মনি ও রাহিফ তার মাকে বাড়ীতে না দেখিয়া মা, মা বলিয়া ডাকা ডাকি করে কোন কথা না শুনে তারা ঘরে ডুকে দেখে খাটের উপরে তার মাকে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থল হইতে থানায় খবর দিলে পুলিশ যায় উক্ত মৃত্যু সংক্রান্তে সুধারাম মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয় মামলা নম্বর ৩, এলাকাবাসী জানায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরিয়া উক্ত আসামী শানু আক্তারকে শ^াসরোধ করিয়া হত্যা করিয়াছে মর্মে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। ঘটনার পর হইতে উক্ত আসামী পলাতক রহিয়াছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং তারিখে গোপন সংবাদ এর বিত্তিতে নোয়খালীর সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এর নেত্রিত্বে (এসআই মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন) ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কালিবাজার হইতে আসামী নজরুল ইসলাম (৩৪) কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে সুধারাম থানায়। পুলিশের জিজ্ঞাসা বাধে আসামী নজরুল ইসলাম জবানবন্দি দেয় ফৌঃ কাঃ ব্ঃি ১৬৪ ধারা মোতাবেক নজরুল ইসলাম জানান আমার স্ত্রী শানু আক্তার কে আমি নিজে এ শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে আরো বলেন আসামী নজরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদীন যাবত ঢাকা নারায়ণগঞ্জ বাসা ভাড়া করে ছিলেন। অনুমান ৬ মাস পূর্বে আসামী নজরুল ইসলাম তার স্ত্রীসহ দুই সন্তান কে নিয়ে সুধারাম থানাধীন ব্রক্ষাপুর স্ত্রীর মামার খালি বাড়ীতে বসবাস করেন। আসামী নজরুল চাকুরী করার জন্য সুধারাম থানাধীন ব্রক্ষাপুর মামার বাড়ী হতে ঢাকা নারায়ণগঞ্জে যায়। ২০ নভেম্বর ২০১৬ ইং রাত অনুমান ৮.৩০ ঘটিকার সময় আসামী নজরুল ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হইতে স্ত্রীর মামার বাড়ীতে আসে। ২১ নভেম্বর ২০১৬ রাত্রে শ^াসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং তারিখে শানুর ভাই বাবর সুধারাম মডেল থানায় এজহার দিয়ে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে যার মামলা নম্বর ৩৭ ধারা ৩০২ দঃ বিঃ শ^াসরোধ করিয়া হত্যা করার অপরাধে, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং বিকালে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত নং-১ স্বীকার উক্তি দেন শ^াসরোধ করিয়া হত্যা করার বিষয়ে এদিকে শানুর ভাই বাবর এর এজহার সূত্রে জানা যায় আসামী রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রঃ নজরুল ইসলাম প্রঃ রফিক প্রঃ নজরুল পিতা- মৃত রুহুল আমিন তালুকদার, মাতা- উম্মে ছালমা, সাং-দীগলদী(শিপালদের বাড়ী) ডাকঘর দানুয়া বাজার থানা ফরিদগঞ্জ, জেলা চাঁদপুর এর সহিত তাহার বোন শানু আক্তার (২৯) এর আনুমানিক দশ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক হই। উক্ত প্রেমের জের দরিয়া তাহার বোন শানু আক্তার দশ বছর পূর্বে শানু আক্তার নজরুল ইসলাম তারুকদার এর সাতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। তাদের দুটি সন্তার রয়েছে, ঘটনার তারিখ ঘাটের উপর মৃত অবস্থায় দেখে ইউনিয়নের চেয়্যারমেন মেম্বার চৌকিদার ও স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ কে সংবাদ দেন। এবং থানায় ও সংবাদ দিলে ঘটনার স্থলে পুলিশ আসিয়া ঘটনার বিষয় দেখে পুলিশ সুরতহাল রিপোট প্রস্তুতি করে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর হইতে রফিকুল ইসলাম তালুকদার পলাতক বাদীর বোন কে শ^াসরোধ করে হত্যা করে কৌশলে পারিয়ে যাই। ময়না তদন্তের রিপোট প্রাপ্তির অপেক্ষায় ও উক্ত বিষয়ে পারিবারিক লোক জনের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া এজহার করিতে বিলম্ব হইল। মহোদয়ের কছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে মর্জি হই।



মন্তব্য চালু নেই