ইউপি নির্বাচন- ২০১৬

নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

এম.এ.আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : আগামী ২২মার্চ অনুষ্ঠিব্য নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন চৌধুরীর মালিকানাধীন চরমাকছুমুল গ্রামের খামার বাড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ২টি ঘরে দরজা জানালা আসবাবপত্র বিনষ্ট ও টাকা পয়সার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে চরজব্বর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। সরকার দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এড.এনামুল হকের পক্ষ নিয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে এ হামলা চালায় বলে মহি উদ্দিন চৌধুরী ও তার খামার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ। চরজব্বর থানা পুলিশ অবশ্য এঅভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এঘটনায় মহি উদ্দিন চৌধুরী ও তার কর্মী সমর্থকের মাঝে পুলিশী আতংক বিরাজ করছে।

জানা যায়, সুবর্নচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহি উদ্দিন চৌধুরী ও সরকার দলীয় প্রার্থী এড. এনামুল হক।

যুবলীগ নেতা মহি উদ্দিন চৌধুরী ও তার খামার বাড়ির ম্যানেজার রুহুল অভিযোগ করে সংবাদিকদের বলেন , গত ২ মার্চ চেয়ারম্যান পদে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য এড. এনামুল হক তাকে চাপ সৃষ্টি করেন। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় তার ওপর বর্তমান চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত ও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেন।

ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে সরকার দলীয় প্রার্থী এনামুল হকের পক্ষ নিয়ে চরজব্বর থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক(এসআই) খন্দকার মো; ইব্রাহিম ও আনোয়ারের নেতৃর্ত্বে একদল পুলিশ চরমাকছুমুল গ্রামের মহি উদ্দিনের খামার বাড়িতে হানা দেয়। স্থানীয় মোহাম্মদপুর গ্রামের নুর উদ্দিন, চর আমান উল্যা গ্রামের জামাল উদ্দিন , তোরাব আলী গ্রামের আক্তার ,চরলক্ষীগ্রামের রাশেদ, চরজুবলি গ্রামের রুহুল আমিন , জাফর উল্যা, সামছুদ্দিনসহ এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে একদল পুলিশ খামার বাড়িতে অর্তকিতে হামলা চালিয়ে , পিটিয়ে ও কুপিয়ে ২টি বসত ঘরের দরজা জানালার টিন ও আসবাপত্র বিনষ্ট করে। এ সময় মৎস্য খামারের মাছ বিক্রির ৪লাখ ১০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং লোকজনদেরকে তাড়িয়ে দেয় বলে খামারের ম্যানেজার রুহুল আমিনের দাবী।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মহি উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় পুলিশ ও সরকার দলীয় প্রার্থীর ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রাথী এড.এনামুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলা ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবী করে বলেন, চরজব্বর থানা পুলিশ ওই স্থানে গিয়েছেন বলেন তিনি শুনেছেন।

এব্যাপারে জব্বর থানার এস আই খন্দকার মো: ইব্রাহিম ও আনোয়ারের সঙ্গে কথা বললে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন মহি উদ্দিন চৌধুরীর খামার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার খবর শুনে ওসি সাহেবের নির্দেশে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করি। তবে এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। কে বা কাহারা ভাংচুর করেছে তা পুলিশের জানা নেই। চরজব্বর থানার ওসি নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে থানায় গিয়ে কথা বললে তিনি বলেন , সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে মহি উদ্দিন চৌধুরীর খামার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূন্ন বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে ওসির দাবী।



মন্তব্য চালু নেই