নোয়াখালী সুবর্ণচরে দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আপত্তিকর পণ্য সামগ্রী বিতরন

নোয়াখালী সুবর্ণচরে দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আপত্তিকর পণ্য সামগ্রী বিতরনে অবিভাবক মহলে ক্ষোভ। এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এল.জি.এস.পি-২ নামে একটি সংস্থা সুবর্ণচর উপজেলার ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়ন অবস্থিত জনতাবাজার ফখরুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ২৬ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে আপত্তিকর এল.জি.এস.পি-২ লেখা একটি প্যাকেটে মেয়েদের ব্যবহারিত ব্রা, লোমনাশক ক্রিম (বিট), স্যানোরা ও একটি সাবান বিতরন করেন।

উক্ত পন্য সামগ্রী বিতরনে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সাহাব উদ্দিন, ইউপি সচিব ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। প্যাকেট খুলে তাজ্জব ও লজ্জায় পড়ে যান শিক্ষার্থীরা, বিষয়টি অবিভাবক মহলে জানাজানি হলে অবিভাবকরা তিব্রনিন্দা জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক জন অভিভাবক জানান আমরা মেয়েদেরকে ইসলামী সু-শিক্ষায় শিক্ষীত করতে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি কিন্তু এই ধরনের আপত্তিকর পন্য সামগ্রী বিতরনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ঘৃনার সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান যে দেশের সরকার ইভটিজিংয়ের কঠিন আইন করেছেন সে দেশে প্রকাশ্যে এমন আপত্তিকর পন্য সামগ্রী অবশ্যই যৌন হয়রানী আওতায় পড়ে। এই সংবাদটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড়, অনেকে এই ধরণের পন্য সামগ্রী বিতরনে যৌন হয়রানী বলে মনে করছেন।

এই ব্যাপারে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হারুনুর রশিদের সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, এই ধরণের কোন অভিযোগ তিনি পাননি, পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন।

অত্র এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন স্বয়ং চেয়ারম্যান স্বহস্তে আপত্তিকর বিতরন করায় আমরা সবাই অবাক হয়েছি। শিক্ষার্থীরা এই সব পন্য সামগ্রী প্রদানে ক্ষোভ ও নিন্দা জানান এবং এর সাথে জড়িত সরকারী-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক হওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।



মন্তব্য চালু নেই