নোয়াখালী হাতিয়া গণপিটুনিতে ৪ ডাকাত নিহত, পুলিশসহ আহত ৫

এম.এ. আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বয়ারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ডাকাতদল। এসময় পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ৪ ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য ও ২ ডাকাতসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ৫ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে একটি বোটে করে ১০-১২ জনের একদল যুবক হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় আসে। এসময় জেলে ও স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ডাকত সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ৪ জনকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে আটককৃতরা নিজেদের ডাকাত বলে পরিচয় দেয় এবং বোটের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র আছে বলে জানায়।

একপর্যায়ে আটককৃতদের সাথে আসা অন্য ডাকাতরা আটককৃত ৪ ডাকাতকে ছিনিয়ে নিতে দেশীয় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এসময় ডাকাতরা কুপিয়ে ৩ পুলিশ সদস্যকে গুরুতর জখম করে। পরে পুলিশ ও উত্তেজিত জনতা একত্রিত হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যসহ গণপিটুনিতে আহত ২ ডাকাতকে রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ ও হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিসুল হক জানান, নিহতদের মৃতদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতরা ডাকাতরা হলো, জুয়পুরহাট জেলার মৃত আবদুল মন্নানের ছেলে আবু বকর ছিদ্দিক (২৭), দিনাজপুর জেলার নুর আলামের ছেলে আশিকুর রহমান (২৪), দিনাজপুর জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার মৃত আবুল মন্নানের ছেলে সাইফুল ইসলাম সুজন (২২, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে সুনাম (২৫)।

আহত ডাকাতরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেলাল হোসেনের ছেলে আকবর (২৬), লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার নুরিয়া গ্রামের আবদুল করিম। গুলিবিদ্ধ বয়ারচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনষ্টেবল ফজলুল হক।



মন্তব্য চালু নেই