নৌকা ভ্রমনে গিয়ে মাঝ নদীতে যৌনকর্ম : হাতেনাতে ধরা ৮ যুবক-যুবতী

নৌবিহারে গিয়ে মাঝ নদীতে যৌনাচারের দায়ে ৫ যুবক ও ৩ যুবতী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। নৌকায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে এমন খবরে স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মির্জাপুর গুমানী নদীতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান তাদের দণ্ড দেন।

এরমধ্যে যুবতীদের দেয়া হয়েছে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। বিপরীতে যুবকদের দেয়া হয়েছে ১০ দিনের কারাদণ্ড।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জ কাজীপুর এলাকার ফরহাদ হোসেনের মেয়ে পারভীন খাতুন (২০), সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৯), ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভবানীপুর এলাকার পাষাণ এর মেয়ে শিখা খাতুন (২২)। এদের প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

যুবকরা হলেন- ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া এলাকার আলিমুদ্দি সরকারের ছেলে জাকারিয়া (২৫), কছিমুদ্দিনের ছেলে মর্তুজা (২৮), মোক্তার হোসেনের ছেলে নাহিদ হাসান নূর (২৫), মৃত. নান্টুর ছেলে রুবেল হোসেন (৩০) ও মোজাহার আলি খার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩২)। এদের প্রত্যেককে ১০ দিনের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৫ দিন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, দির্ঘদিন যাবৎ চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন নদীতে নৌকা বিলাশ/পিকনিকের নামে প্রমোদবালাদের নিয়ে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার একটি নৌকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে ২৯৪ এর খ ধারায় ও উপধারা ক অনুযায়ী অশ্লীলতার অপরাধে তাদের এ সাজা দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই