নৌমন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ওপর ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, যাদের ওপর দেশ চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারাই যদি নিজেদের দাবি দাওয়া আদায়ে আমাদের জিম্মি করে তাহলে যাওয়ার আর কোনো জায়গা থাকে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও শাজাহান খানের ওপর ক্ষুব্ধ। তবে নিজেদের দলের লোক হওয়ার কারণে তারা কিছু বলতে পারছে না।

এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বুধবার) এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে সরকারের একজন মন্ত্রী মদদ দিচ্ছেন।

সকালে রাজধানীর শাহবাগ ওভারব্রিজের উত্তর পাশে (বারডেম হাসপাতাল সংলগ্ন) কয়েকজন লোক কথা বলছিলেন শ্রমিকদের ধর্মঘট নিয়ে। তাদের মধ্যে কথোপকথন হচ্ছিল। এ সময় একজন বলেন, ‘বেড়ায় যদি খেত খায়, সে খেত রক্ষা করা কঠিন’। আরেকজন বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শ্রমিকদের মাঠে নামিয়েছে। আরেকজন বলছেন, পত্রিকায় লিখেছে, মন্ত্রী শাজাহান খানের বাসায় বসে বৈঠক করে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে, চায়ের স্টলে, বাসে, এমনকি রিকশা আরোহীদের মধ্যেও আলোচনার একটি মাত্র বিষয় তা হলো পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট জনগণের ভোগান্তি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবহন ধর্মঘটে একটি রাজনৈতিক দল সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ঢুকে এটাকে রাজনৈতিক রঙ দেয়ার চেষ্টা করছে।

শাজাহান খানের প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ধর্মঘট করছেন। ওইদিন তারা খুলনার ১০ জেলার ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য বসেছিলেন। ওই মুহূর্তে পরিবহন খাতের নেতারা খবর পান একজন ট্রাকচালককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তখন শ্রমিক নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর তারা তাদের নির্দেশ ছাড়া নিজেদের মতো ধর্মঘট শুরু করেন। নির্দেশের অপেক্ষা করেননি।

অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের পেছনে যিনি মদদ জোগাচ্ছেন, তিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। আজকে একটি অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার এ সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ।



মন্তব্য চালু নেই