ন্যাশনাল সার্ভিসে ২০ উপজেলায় ৩০ হাজার কর্মসংস্থান

ন্যাশনাল সার্ভিসে ২০ উপজেলায় ৩০ হাজার কর্মসংস্থান সৃস্টির অনুমোদন দিল সরকার। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণে মন্ত্রিসভা এ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ অনুমোদনের ফলে ২০টি উপজেলার প্রতিটিতে ১ হাজার ৫০০ জন নতুন কর্মসংস্থানে প্রবেশের সুযোগ পাবে। তবে উপজেলার নাম ও অর্থের পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেসব উপজেলায় এ কর্মসূচি ইতোপূর্বে ছিল না, এমন দরিদ্রতম ২০ উপজেলাকে এর আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়েছে।’

‘এবারের কর্মসূচিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে দরিদ্রতম জেলার দরিদ্রতম উপজেলাকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হতো। এখন আর জেলাকে বিবেচনা করা হবে না। উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র ২০টিকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।’

তিনি জানান, এ কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৩৫ বয়স বয়সী বেকার নারী ও পুরুষদের তিনমাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এ সময় তাদের প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি ছিল, ২০১০ সালে ৬ মার্চ এ কর্মসূচি কুড়িগ্রাম থেকে শুরু হয়।

প্রশিক্ষণ শেষে তাদের ২ বছরের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন তারা ২০০ টাকা করে প্রতিদিন পান, এরপর তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারে সরকার।

এর আগে মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জের ১৯টি উপজেলায় ৫৬ হাজার ৮০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৪ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এজন্য ব্যয় হয় ৮৪৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে ব্যয় করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১১-১২ সালে রংপুর বিভাগের সাতটি জেলার আটটি উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৬৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং খরচ হয় ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

২৭টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চালু আছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।



মন্তব্য চালু নেই