পঁচা গম আমদানী : বেঁচে গেলেন কামরুল!

পঁচাগম আমদানীর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেয়ার তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। তবে এখানে খদ্যমন্ত্রী বেঁচে গেলেন। জড়িতদের তালিকায় তার নাম নেই।

জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৪তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন চলমান প্রকল্পের কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া তরান্বিত করার লক্ষ্যে দ্রুত নিয়োগ-বিধি প্রণয়ন সম্পন্ন করার সুপারিশ করে। বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়।

কমিটি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানিকৃত গমের মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণসহ খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গম আমদনির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং অধিকতর গতিশীল করার সুপারিশ করে। ভাল গম উৎপাদনকারী দেশ সমূহের সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গম ক্রয় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করে। তাছাড়া গম জাহাজীকরণের পূর্বে আন্তর্জাতিক এজেন্টদের সমন্বয়ে আমদানীকৃত/ক্রয়কৃত গম পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার জোর সুপারিশ করে।

বৈঠকে খাদ্যের মান বজায় রাখার লক্ষ্যে আইনজ্ঞ নিয়োগ করে প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণের সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী মো: কামরুল ইসলাম, মো: হাসিবুর রহমান স্বপন, শেখ ফজলে নূর তাপস এবং শিরিন নাঈম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিশেষ আমন্ত্রণে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই