‘পতনের ভয়ে মান্নানকে আটকে রেখেছে সরকার’

‘সরকার আইনের মারপ্যাচে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানকে জেলে আটকে রেখেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুর যেহেতু ঢাকার কাছে, তাই মেয়র মান্নান মতো একজন জনপ্রিয় নেতা বাইরে থাকলে আন্দোলনের ঢেউ লাগবে। সরকার পতনের ভয়ে তাকে আটক করে রেখেছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়াতনে শনিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন হান্নান শাহ।

তিনি বলেন, ‘সরকার সারাদেশের মেয়রদের বিভিন্ন অজুহাতে সরিয়ে দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে দিচ্ছে না সরকার। তাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক আব্দুল মান্নানকে জেলে রেখেছে।’

মান্নানের মুক্তির ব্যাপারে দলের তৎপরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হান্নান শাহ বলেন, ‘মেয়র মান্নানের মুক্তির জন্য আমরা আইনি সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্র নিষ্ক্রিয় নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন মেয়র মান্নানকে আইনি সহয়তা দেওয়ার জন্য দলের আইনজীবীদের তাগাদা দিচ্ছেন। তিনি নিয়মিত খোজঁখবর রাখছেন।’

বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা সবাই অনির্বাচিত উল্লেখ করে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি দেখলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাথা খারাপ হয়ে যায়। কারণ তিনি ও সংসদের কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই।’

‘মেয়র মান্নান বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার অপরাধে শেখ হাসিনা তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জেলে রেখেছেন’ বলেন মিলন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ সময় মেয়র এমএ মান্নানের স্ত্রী সাজেদা মান্নান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গাজীপুরের সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের নামে ১১টি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। তাকে কারাগারে বন্দি রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। বিচার শেষ না হওয়ার আগেই মেয়র পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত ও দুঃখজনক।’

সাজেদা মান্নান বলেন, ‘মেয়র মান্নান দীর্ঘদিন যাবত হার্ট, কিডনি ও ডায়বেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ। তাকে গ্রেফতার করে একের পর এক রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী এবং মৃত্যু পথযাত্রী। তার উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরি। উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকারের কাছে দাবি করছি কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তার মুক্তি দিন।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির, গাজীপুর বারের সভাপতি ড. শহিদুজ্জামান, ড্যাবের সিনিয়ির যুগ্ম মহামচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই