পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন সুজন

কিছুটা অভিমানেই দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা ই-মেইলের মাধ্যমে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনকে জানিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে, বিসিবির সঙ্গে বৈঠক করার পর নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তিনি। ভারত সিরিজে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সুজনই।

রোববার একটি জাতীয় দৈনিকে সুজনের বেতন-ভাতা নিয়ে একটি অনুসন্ধানি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যেখানে তার পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং বলা হয় অন্য যে কোন ম্যানেজারের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি বেতন নেন তিনি।

এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের পরই ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি এবং রোববার রাতেই একটি ই-মেইলে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা জানান বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর কাছে।

এ বিষয়টি নিয়েই সোমবার বিসিবিতে জরুরী বৈঠকে বসে বোর্ড কর্মকর্তারা। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয় খালেদ মাহমুদ সুজনকে। উল্লেখ্য, সুজন নিজেও একজন বোর্ড পরিচালক। বৈঠকে তার কাছে ম্যানেজারের পদে দায়িত্ব পালন না করার কারণ জানতে চাওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজন নিজেই।

তিনি বলেন, ‘ম্যানেজার হিসেবে আমিই থাকছি দায়িত্বে। মূলতঃ কয়েকটি কারণে ক্ষুদ্ধ হয়েই বিসিবির সিইও’র কাছে আমি একটি মেইল পাঠিয়েছিলাম। যেখানে আমি বলেছি দায়িত্ব পালন করবো না। আমি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করি- এটা বোর্ডের কেউ কেউ সহ্য করতে পারেন না। যে কারণে ভেতরের অনেক কথাই প্রকাশ্যে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও একজন বোর্ড পরিচালক। বোর্ডের বিভিন্ন বৈঠকে অনেক সিদ্ধান্ত হয়। যে গুলো মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনেক গোপন কথা আর গোপন থাকে না। আমি কত বেতন পাই না পাই- সবই বলে দেওয়া হচ্ছে মিডিয়ায়। এ বিষয়টাই বৈঠকে তুলে ধরেছি। সেখান থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বিষয়গুলো নিরসন করা হবে।’

ম্যানেজারির দায়িত্বের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুজন। তিনি বলেন, ‘এত কম সময়ের জন্য ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা আসলে কঠিন ব্যাপার। একটি সিরিজের আগে এসে দায়িত্ব অর্পন করা হয়, আর এত কম সময় থাকে যে প্রস্তুতিটাও ভালোভাবে নেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে যাকেই এই দায়িত্ব দেয়া হবে তাকে যেন দীর্ঘ দিনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।’



মন্তব্য চালু নেই