পরকীয়ার জেরেই ঝরলো টুম্পার প্রাণ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার বেপরোয়া জীবনের কারনেই অকালে ঝরে গেল টুম্পার প্রাণ। দীর্ঘ দিন ধরে এক নারীর সঙ্গে সোলায়মানের পরকীয়া চলছিল। বিষয়টি তাঁর স্ত্রীর নজরে আসলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকতো। প্রায়ই সোলায়মান তাঁর স্ত্রীর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো।

নিহত টুম্পার মা সেলিনা বেগম বলেন, পরকীয়ার কারনে টুম্পাকে প্রায়ই মারধর করতো সোলায়মান। আর এরই শেষ পরিণতি হলো মেয়ের মৃত্যু। নিহত টুম্পার ছোট ছেলে নির্জন ইসলাম নাফির কথায়ও সেই কথার সুর পাওয়া গেল। নির্জন বলেছে, তার বাবা প্রায়ই তার মার ওপর নির্যাতন চালাতো।

এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহেদ ভারভেজকে কাউন্সিলর সোলায়মানের বেপরোয়া জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এখনো এ ব্যাপারে মামলা হয়নি। তবে আমরা গোটা বিষয়টিও ওপর নজর রাখছি। মামলা না হলেও আমরা তদন্ত করছি।

ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের বাসায় গতকাল রবিবার তালাবদ্ধ বাসা থেকে টুম্পার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেণ। ঘটনার পর থেকেই গাজীপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল সোলায়মান পলাতক রয়েছে।

এদিকে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে নিহতের স্বজনরা ছাড়াও স্থানীয়রা অংশ নেন।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কাউন্সিলর সফিকুর আমিন তপনসহ অন্যান্যরা। এ সময় বক্তারা কাউন্সিলর সোলায়মানকে টুম্পার ঘাতক হিসাবে আখ্যায়িত করে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিার দাবি করেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিচার চাইলেন নিহত নুশরাত জাহান টুম্পার ছেলে ও মা।

এসময় নিহত টুম্পার ছোট ছেলে নির্জন ইসলাম নাফি জানায়, তার বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো।

টুম্পার মা সেলিনা বেগম অভিযোগ করেন, পরকীয়ার সম্পর্কের কারণে প্রায়ই টুম্পাকে মারধর করতো তার স্বামী সোলায়মান। সবশেষে সোমবার সকালে টুম্পাকে উত্তরায় নিজ বাসায় হত্যা করে পালিয়ে যায় সোলায়মান। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই