পরকীয়া, দোষ কি হরমোনের?

রাধা-কৃষ্ণের প্রেম নিয়ে আম-জনতার মনে যতই ফ্যান্টাসি জমে উঠুক না কেন, বাস্তব জীবনে কিন্তু পরকীয়া নিয়ে আমাদের আলোচনার সীমা নেই। অধিকাংশের নজরেই বিষয়টি বেশ খারাপ। রয়েছে প্রবল সমালোচনা, তাও যুগ যুগ ধরেই পরকীয়া বহাল তবিয়তেই টিকে আছে।

আচ্ছা, জানেন কি সামাজিক ‘সম্মান’, ‘নৈতিকতা’ প্রশ্নগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও রীতিমত রিস্ক নিয়েই কেন কেউ নিজের পার্টনারকে ছেড়ে অন্য কারও দিকে ঝুঁকে পড়ে? সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলালেও কেন একই রকম রয়ে গিয়েছে চোরাগোপ্তা পরকীয়ার প্রবণতা? সাদা বাংলায় সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ঠকানোর পিছনে আসলি কারণটা ঠিক কী?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমাদের শরীরের অন্যতম দু’টি হরমোন ডোপামিন এবং ভ্যাসোপ্রেসিন চিটিং করার প্রবণতার অন্যতম দুই কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিটাল অ্যান্ড ফ্যামিলি থেরাপি নামের একটি জার্নাল কিছু দিন আগেই একটি সমীক্ষা করেছিল। এই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। ৫৭% পুরুষ এবং ৫৪% মার্কিন মহিলারা জানান জীবনে অন্তত একবার পার্টনারকে ঠকিয়ে অন্য কারও শয্যাসঙ্গী বা সঙ্গিনী হয়েছেন। মনোবিদরা ব্যভিচারের কারণ হিসেবে বহু মানসিক ও পারিপার্শ্বিক কারণকে দায়ী করলেও

বিজ্ঞানীরা কিন্তু অন্য কারণও দেখাচ্ছেন। ডোপামিনের জন্য মোট ২০০ রকমের রিসেপটার জিন আছে। ডোপামিন মস্তিষ্কে যৌন তৃপ্তি তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যাদের শরীরে ডোপামিন রিসেপটর জিনের অ্যালিলের সংখ্যা যত বেশি, তাদের মধ্যে ব্যভিচারের প্রবণতাও তত বেশি হয়। চিটিংয়ের পিছনে অন্যতম কারণ শরীরে ভ্যাসোপ্রেসিন নামের হরমোনের অতিরিক্ত উপস্থিতি। মূলত যৌন মিলনের সময় নির্গত হয় এই হরমোন। দেখা গিয়েছে ব্যভিচারীদের শরীরে এই হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে যে দিন তার সংখ্যা অত্যন্ত কম।



মন্তব্য চালু নেই