পরিবার পরিকল্পনা ও পল্লী বিদ্যুতের পরিচালকের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহবুবুর রহমান ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রাক্তন পরিচালক এআইএম লতিফুল আজমের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। একইসঙ্গে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।

পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালকের অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহবুবুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। দুদকের কাছে আসা এমন অভিযোগ দুদকের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিককে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও পরিচালক বেলাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমিশন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রাক্তন পরিচালকের অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মানব সম্পদ পরিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক এ আই এম লতিফুল আজমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে বেশ কিছু সত্যতা পাওয়ায় ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক।

সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে লতিফুল আজম সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

এ অবস্থায় সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলামকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনের জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।



মন্তব্য চালু নেই