পর্দা উঠলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার

পর্দা উঠলো ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী এ মেলা।

এ দিনে বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণের পাশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই‘র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

মেলায় এবার বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও পাঁচ মহাদেশ থেকে ২২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে সাতটি দেশ ।

অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, মরিশাস, ঘানা, নেপাল, হংকং, জাপান, মরক্কো, ভুটান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত মেলা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

মেলায় প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ২০ টাকা।

মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে মেলা মাঠে ছোট বড় মিলে ১৬৮টি প্যাভিলিয়ন ও ৩৮৭টি স্টল থাকছে। এ সবের মধ্যে ৬০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১০টি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, ৩টি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, ৩৮টি ফরেন প্যাভিলিয়ন, ৩৬টি প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৩টি জেনারেল মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬টি রিজার্ভ মিনি প্যাভিলিয়ন, দুটি ফরেন মিনি প্যাভিলিয়ন, ৬৪টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৬টি ফরেন প্রিমিয়ার স্টল, ২৭৫টি জেনারেল স্টল ও ২৫টি ফুড স্টল এবং পাঁচটি রেস্টুরেন্ট থাকবে।

এ ছাড়া মেলায় একটি ই-শপ, একটি শিশু পার্ক, সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্রের আদলে ইকো পার্ক, একটি ই-পার্ক, দুটি রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, দু’টি মা ও শিশু কেন্দ্র, একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ১৪টি স্পটে গার্ডেন, ১৩ স্পটে ৫২টি টয়লেট, ৩টি স্পটে ৭৭০টি গাড়ি রাখার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মুসল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদ এবং আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের জন্য দুটি ডরমেটরিও স্থাপন করা হয়েছে।

মেলায় বিগত বছরের মতো এবারও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দিতে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে। এতে ফিল্ম প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হবে।

এদিকে মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি ফোর্স নিয়োজিত থাকছে।

মেলা প্রাঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, গেট, পার্কিং এরিয়াসহ চারপাশে একশ’ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যামেরা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ।



মন্তব্য চালু নেই