পর্যটনের আকর্ষণ এখন শ্রীমঙ্গলের ‘বধ্যভূমি-৭১

সৌরভ আদিত্য, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল শহরে ২০১০ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত ‘স্মৃতিস্তম্ভ’কে ঘিরে তৈরি এ বধ্যভূমি ৭১ এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ শহরের বিনোদন পিপাসুদের পদভারে মুখরিত। প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা এখানে আসলেও ছুটির দিনসহ বছরের বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকের ঢল নামে। শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ সড়কের বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই সাধুবাবার বটের তল নামে পরিচিত বধ্যভূমি ৭১, আর সেখানে এসে প্রতিদিন ভীড় জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা।

শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে এটি সর্বাধিক সৌন্দর্যমন্ডিত। আর শহরের কাছে এবং বিজিবি ক্যাম্পের নিরাপত্তা বলয়ে থাকায় প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থী ভীড় করছেন সেখানে। উপভোগ করছেন আনন্দ এবং জানতে পারছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের নির্মম অনেক ইতিহাস। বধ্যভূমি-৭১ এর পাশে কালের স্বাক্ষি হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে সেই বট বৃক্ষ। যেটি সাধু বাবার বটবৃক্ষ নামে শ্রীমঙ্গলবাসীর কাছে পরিচিত। এই বটতলায় ১৯৭১ সালে হত্যা করা হয়েছিলো শতশত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষকে।

পরে পাশেই গণকবর দেওয়া হয় তাদেরকে। পাহাড়ী ছড়ার উপর ঝুলন্ত সেতু, ভাস্কর্য, চা বাগান, পানির ফোয়ারা, বটবৃক্ষ, ফুলবাগান, সবুজ ঘাসে আবৃত্ত খোলা মাঠ আর প্রিয়জনকে নিয়ে বসে গল্প করার জন্য বসার স্থান, বধ্যভূমির আশেপাশে তৈরী লাগানো হয়েছে মনমুগ্ধকর বৃক্ষ।

আগত দর্শনাথীর সুবিধার্থে রয়েছে বিজিবি পরিচালিত ‘সীমান্ত স্পন্দন নামে দুটি ক্যন্টিন। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি জায়গায় রুপ নিয়েছে এটি। যা এক দিকে বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে অন্যদিকে এটি জাগ্রত করে দেশাত্ববোধও। এরকম সুন্দর ও শ্রদ্ধার একটি জায়গা পেয়ে খুশি যেমন বড়রা তেমনি ছোটরাও। তাই প্রতিদিন বিকেল বেলা বধ্যভুমি তে অনেক মানুষ দেখা যায়। আর ছুটির দিনে এই জায়গায় মানুষের ঢল নামে।



মন্তব্য চালু নেই