পাঁচবিবি সীমান্ত দিয়ে আসছে গরু যাচ্ছে স্বর্ণ

তোহা আলম প্রিন্স ॥ পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্ত দিয়ে আসছে গরু যাচ্ছে স্বার্ণ। এলাকাঘুড়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে বেশ কিছুদিন বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের যৌথ টহলের কারণে পয়েন্টগুলোতে চোরাচালান অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এসেছিল। গত ১০ই মে থেকে আবারো মালামাল পাড়াপারের ইজারা চালু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক সীমান্তের কিছু লোক জানায় ভারত সীমানায় বিএসএফ এর কড়া নজরদারির কারনে প্রায় ৮-৯ মাস যাবৎ ভারতীয় পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা। কিন্তু ভারতের সীমান্ত ঘেষা সীমানায় অবস্থানরত প্রভাবশালী নেতাদের অক্লান্ত চেষ্ঠায় গত ১০ মে থেকে ভারত সীমানায় মালামাল পাড়াপারের ইজারা চালু করায় বাংলাদেশী চোরাচালানীর সদস্যরা আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে। সুত্র আরোও জানায় বিশেষ করে লোক চক্ষুকে আড়াল করতে প্রতিরাতে চলছে চোরাচালান বাণিজ্য। ফলে এদেশ থেকে যাচ্ছে স্বর্ণ আর ভারত থেকে নিবিঘেœ পাচার হয়ে আসছে গরু, জিরা, এলাচ, পটকা, শাড়ি, থ্রী পিচ সহ বিভিন্ন মাদক। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন ভারতীয় পণ্য আটক করতে সক্ষম হচ্ছে। আরোও জানা গেছে সীমান্তে অবস্থানরত লাইনম্যানদের গোপন সংকেতের কারনে সড়ক পথে যাত্রীবাহী বাসে চোরাচালান পণ্য বহন কমিয়ে এনে সীমান্ত সংলঘœ গ্রাম পাড়া মহল্লায় মজুদ করে রাতে কাচা পাকা রাস্তা গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে অন্ধকারে এসব পণ্য নিবিঘেœ পাচার করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৮ মে ভূইডোবা গ্রাম এলাকায় কয়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৬ টি সোনার বার সহ ১ জন সোনা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল। এ ব্যাপারে কয়া ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এজাবুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই