পাঁচ উপায়ে মোবাইলের আসক্তি কাটান

তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে মোবাইল প্রয়োজনীয় বস্তু হলেও এর মধ্যে ডুবে থেকে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করেন অনেকেই। হাঁটতে হাঁটতে, টয়লেটে বসে কিংবা ঘুমের জন্য বিছানায় গিয়েও মেতে থাকেন মোবাইলের গেম, অ্যাপস, ফিচার, ফেসবুকে। এর ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রভাব পড়ছে।

পাঁচ উপায়ে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যা আপনার মূল্যবান সময়কে রক্ষা করে দৈনন্দিন শিডিউল ঠিক রাখবে।

১. কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পরে মোবাইলটিকে সাইলেন্ট করে দিন। খুব প্রয়োজন না থাকলে ফোনটিকে কোনো ড্রয়ার বা আলমারিতে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পরে ফোন বার করে দেখুন ইতিমধ্যে কোনো জরুরি ফোন বা মেসেজ এসেছে কি না। এই নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা না করে কল ব্যাক করুন বা মেসেজের রিপ্লাই দিন।

২. অফিসে থাকাকালীন টয়লেট যেতে হলে মোবাইলটিকে রেখে যান নিজের ডেস্কে।

৩. আপনি যখন রাস্তায়, তখন নিজের চারপাশের পরিবেশের দিকে মনোযোগ দিন। আশপাশের মানুষজনের দিকে তাকান, তাদের পোশাক-আশাক লক্ষ করুন। রাস্তা যদি ফাঁকা থাকে তাহলে দেখুন আকাশের অবস্থা, বা তাকান গাছপালার দিকে। রাস্তা পেরনোর সময়ে অবশ্যই তাকান ট্র্যাফিক সিগনালের দিকে। মোট কথা মোবাইল থেকে মন সরান।

৪. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলটিকে সাইলেন্ট করে নিজের নজরের বাইরে রেখে দিন। বাসে-ট্রামে থাকাকালীন মোবাইলে গান শোনা, গেম খেলা বা ভিডিও দেখার অভ্যাস ছাড়তে হবে। দরকার হলে সাময়িক ভাবে নেট-অফ করে দিন। বাস-ট্রামের জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করার অভ্যেস গড়ে তুলুন।

৫. দিনে অন্তত ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা অন্য কোনো মেন্টাল রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজের জন্য নির্ধারিত রাখুন। শুধু মোবাইল-নেশা নয়, যেকোনো ক্ষেত্রেই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার এটি একটি কার্যকর উপায়।

তবে, মোবাইল সাইলেন্ট মুড করার সময় নিজের প্রয়োজনীয় বা প্রিয়জনদের নাম্বারগুলো বিশেষ ফাংশনে রিংগিং মুডে রাখতে পারেন। এতে প্রয়োজনীয় ফোনে সাড়া দিতে পারবেন।



মন্তব্য চালু নেই