পাঁচ মাস পর কবর থেকে লাশ তুলে ময়না তদন্ত

টিপু সুলতান (রবিন), সাভার প্রতিনিধি : গাজীপুরে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর পাঁচ মাস পর মিললো ময়না তদন্তের অনুমতি। প্রভাবশালী শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা হত্যার ঘটনাকে আত্নহত্যা বলে ধাঁমাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আদালতে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ কবর থেকে উঠিয়ে ময়না তদন্তের অনুমতি দেয়া হয়।

আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে আশুলিয়া জিরানী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে নিহত রত্না আক্তারের মরদেহটি উত্তোলন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

নিহত রত্না আক্তারের বাবা আকবর আলী জানান, গত সাত বছর পূর্বে গাজীপুর কালিয়াকৈরের গড়িয়াবহ এলাকার আলিম উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসেমের সাথে তার কণ্যার বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে প্রায়সময়ই তার মেয়ের উপর চলতো শারিরীক নির্যাতন।

পরকিয়া প্রেমের জের ধরে ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর দুই সন্তানের জননী রত্না বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

এঘটনায় নিহতের স্বজনরা রত্নাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করলেও রত্নার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় কালিয়াকৈর থানা পুলিশ তাদের মামলা আমলে নেয়নি।

এসময় নিরুপায় হয়ে নিহতের বাবা মৃতদেহটির দাফন সম্পন্ন করেন। এরপর রত্নার বাবা নিজ মেয়ের হত্যার বিচারের দাবীতে আদালতের সরণাপন্ন হন।

সর্বশেষ চলতি বছরের দুই ফেব্রæয়ারি মাসে নিহতের পরিবাবেরর পক্ষ থেকে গাজীপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করলে তা আমলে নিয়ে আসামি আটকের নির্দেশ দেন মহামান্য আদালত।

এরপর ১৫ মার্চ পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী আবুল হাসেমকে আটক করে পুলিশ।

গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গত বুধবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে রত্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে পাষন্ড স্বামী আবুল হাসেম।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন আদালতের নির্দেশে নিহত রত্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ কবর থেকে তোলার হলে নিহতের স্বজনদের মাঝে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।



মন্তব্য চালু নেই