পাকা কথার পরেই ছক কাটুন হানিমুনের জন্য

পাত্র-পাত্রী দেখাশোনা, পাকা কথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সানাই বাজা শুরু৷ তিন মল মাস ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিকের ফাঁদে পরে বহু জুটিই অধীর আগ্রহে বসে থাকেন, বিয়ে হবে কবে? সেই প্রশ্ন আজ অতীত৷ এখন পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে নহবৎ নইলে সাউন্ড বক্সে সানাই বাদ্য৷ আর ঠিক এই সময়ই নানা কাগজ-পত্রিকা জুড়ে বিয়ে নিয়ে বহুবচন, বহু কাব্য৷ তাই ব্যতিক্রমী হয়ে বিয়ে নয়, বিয়ের পরের স্টেপ ‘হানিমুন’ টিপস নিয়ে হাজির৷ টুক করে ছকে নিন, আপনার হানিমুন প্ল্যানিং৷

১ হানিমুন প্ল্যান করার প্রথম শর্তই হল মনের কথা শোনা৷ নিজের পাশাপাশি, একে অপরের৷ আপনার পাহাড় ভাল লাগে তাই দুম করে পাহাড়ে হানিমুন ঠিক করে নিলেন এই সব গোড়ামি নৈব নৈবচ৷ তার চেয়ে দু’জনের মনের কথায় সায় দিন৷ বেটার হাফের কাছে মতামত নিন৷ কোথায় যাওয়া যায়৷

২ জায়গা যখন ঠিক তখন টুক করে ছকে ফেলুন হানিমুন বাজেট৷ হানিমুনের জন্য যেখানে যাবেন সেই জায়গা সর্ম্পকে একটু জেনে নিন৷ সাহায্য নিতে পারেন ট্যাভেল এজেন্সি বা ইন্টারনেটেরও৷

৩ দেশের সীমানা পেড়িয়ে যদি যেতে চান হানিমুনে তাহলে প্রথমেই চেক করে নিন স্ত্রীয়ের পাসপোর্ট আপডেটেড আছে কিনা৷ তার পরই কেটে নিন পছন্দসই এয়ারলাইন্সের টিকিট৷ উইন্ডো সিটকেই প্রাধান্য দিন৷

৪ হোটেল বুকিং টু টিকিট কেনা শেষ৷ এবার বাক্স গোছানোর পালা৷ লিস্ট বানিয়ে নিন কি কি নেবেন৷ হানিমুন বলে কথা৷ ফ্যান্টাসি তৈরি করতে ঠিক ঠিক যা যা প্রয়োজন তা যেন নিতে ভুল না হয়৷

৫ সমুদ্রতটে হানিমুন হলে তো কথাই নেই৷ রঙিন বিচ ওয়্যার যেন ব্যাগে অবশ্যই জায়গা করে নেয়৷ মেয়েদের বলছি, একটু সাহসী হয়ে বিকিনিও পরতে পারেন অনায়েসে৷ আর হানিমুন মায়াবি করে তুলেত রঙিন অন্তর্বাস নিতে ভুলবেন না৷ কারণ মধুচন্দ্রিমার ফাইনাল খেলার একমাত্র পোশাকই কিন্তু এই রঙিন অন্তর্বাস৷

৬ হোটেলে ঢুকেই প্রথমেই দেখে নিন রুমটি কেমন৷ সমুদ্রে গেলে যেন রুমটি হয় সি-ফেসিং৷ আর পাহাড়ে গেলে অবশ্যই যেন পাহাড় দেখা যায়ে রুমের বারান্দা থেকে৷ দেখে নিন রুমের বাথরুম৷ বাথটবওয়ালা বাথরুমকেই গ্রিনসিগন্যাল দিন৷ কারণ খেলা শুরু হবে চারদেওয়ালেও ভিতরে থাকা এই বাথটব থেকেই৷

৭ একটু বিশ্রাম নিয়ে বেড়িয় পড়ুন সাইট সিয়িংয়ে৷ টুকটাক ছবি তোলার মাঝখানে চলুক অল্পস্বল্প প্রেম৷ ফেসবুকে বন্ধুদের জানাতে হবে তো আপনার হানিমুন ঠিক কেমন জমাটি৷ তবে এ ব্যাপারে ব্যক্তিগত সময়ের ছবি না হয় থাকুক আপনার বুকেই, রেহাই দিন ফেসবুককে৷

৮ ঘুরতে বেরিয়ে কিনে ফেলুন অ্যারোমা মোমবাতি, চকলেট, বেশ কিছু লাল গোলাপ৷ ভাবছেন কেন? আরে বাবা এই গুলোই হতে চলেছে আপনার মধুচন্দ্রিমার আসল উপাদান৷

৯ মধুচন্দ্রিমাকে ইন্টরেস্টিং করে তুলে খেলতে পারেন কিছু মিষ্টি খেলাও৷ ট্রাই করুন কানামাছি ভোঁ ভোঁ৷ তবে নিয়মটা একটু বদলে দিন৷ কালো কাপড়ে বেঁধে দিন আপনার প্রিয়জনের চোখ৷ তার পর মুখের সামনে ধরুন আঙুর, চকলেট৷ প্রিয়জনকে আঁচ করতে বলুন মুখের সামনে কী রয়েছে৷ এ ব্যাপারে স্ট্রেবেরির জুড়ি মেলা ভার৷

১০ গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন মধুচন্দ্রিমার শয্যায়৷ কিছু ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন প্রিয়-র খোলা শরীরে৷ প্রিয়কে বলুন চোখ বুজে থাকতে৷ ফুঁ দিয়ে একে একে সরিয়ে দিন গোলাপের পাপড়ি৷ প্রিয়জনকে অনুমান করতে বলুন পরের ফুঁ-টা ঠিক কোথায় পরবে৷

১১ এই খেলায় হার বা জিত বলে কিছু নেই৷ আর খেলার পুরস্কার একটাই৷ চুম্বন৷

১২. হানিমুন একেবারেই আপনার ব্যক্তিগত৷ দুজনের পছন্দকেই মেনে নিয়ে মধুচন্দ্রিমার মধুতে মিশিয়ে ফেলুন আপনার ইমোশন৷ তবে পুরো বিষয়টিতেই যেন থাকে দু’জনের সম্মতি৷ আর অবশ্যই নিরাপদ৷ আমাদের পক্ষ থেকে রইল শুভেচ্ছা৷



মন্তব্য চালু নেই