পাকিস্তানি সেনাদের প্রতীকী বিচারে আপত্তি তদন্ত সংস্থার

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১৯৫ পাকিস্তানি সেনার প্রতীকী বিচারে আপত্তি জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ উদ্যোগের সমালোচনাও করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমণ্ডিস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে আপত্তির কথা জানান সংস্থাটির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।

হান্নান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে একটি আদালতে বিচার চলমান থাকা অবস্থায় অন্যকোনো আদালত হতে পারে না। সেটা প্রতীকী হোক আর যাই হোক। এই প্রতীকী বিচার সঠিক হবে না।’

তবে তিনি এও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিদেশীয় চুক্তির আওতায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক ১৯৫ সেনা সদস্যকে নিজ দেশে বিচারের মুখোমুখি করার শর্তে ফেরত নেয় পাকিস্তান। এরপর ৪৪ বছর পার হলেও তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়নি দেশটি।’

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আদালতে’ ওই ১৯৫ সেনা সদস্যের প্রতীকী বিচারের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে চলতি বছরের ২৬ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রতীকী বিচার হবে বলেও ঘোষণা দেন ওই সংগঠনের আহ্বায়ক শাজাহান খান।



মন্তব্য চালু নেই