পাকিস্তানের আকাশে যুদ্ধবিমান নয়, উড়লো গরু!

এ সময়ে পাকিস্তান ও ভারত আলোচনা মানেই ‘যুদ্ধ’। ‘যুদ্ধ’ প্রসঙ্গ ছাড়া যেন দেশ দুটির নাম বড়ই বেমান। দেশ দুটির আলোচনা বিশ্বব্যাপী তুঙ্গে। এরইমধ্যে আলোচনায় যক্ত হয়েছে পাকিস্তানের ‘আকাশে’ একজোড়া গরু।

সে এক হই হই কাণ্ড৷ একজোড়া গোরুকে ছাদের গোয়াল থেকে নামানো হচ্ছে৷ তার জন্য মোটা টাকায় ভাড়া করা হয়েছে ক্রেন৷ এমনিতে কয়েকদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম গরম সম্পর্কের জেরে কোনো আলোচনাই হচ্ছিল না৷ এবার বন্দর শহর করাচি অবশ্য নতুন আলোচনার বিষয় পেল৷ ক্রেন দিয়ে গোরু দুটোকে ছাদ থেকে নামানোর গল্প৷ সোশ্যাল সাইটের জেরে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে৷

করাচির বাসিন্দা এজাজ আহমেদ৷ শহরের এক ঘিঞ্জি মহল্লায় তার চারতলা বাড়ি৷ এলাকার প্রতিটি বাড়ি গায়ে গায়ে লেগে রয়েছে৷ এমনই অবস্থা যে গলির মধ্যে দিয়ে ঠিকমতো যাতায়াত করাই মুশকিল৷ এরকম পরিবেশেই গরু পালনের শখ হয়েছিল এজাজ আহমেদের৷ বুদ্ধি খাটিয়ে ছাদেই গোয়াল তৈরি করেন৷ চারবছর আগে দুটি বাছুর কিনে ছাদে রেখে দিয়েছিলেন৷ ছোট থাকায় চারতলার ছাদে ওঠাতে কোন সমস্যাই হয়নি। ছাদের গোয়ালে গরু দুটোকে দিব্বি জাবনা দেওয়া হত৷ মনের আনন্দে সেই জাবনা খেয়ে বড় হয়েছে তারা৷ ছাদ থেকেই তারা করাচির আকাশ দেখে৷ আর রাশি রাশি গোবর ফেলে৷ সেসব পরিষ্কার করান এজাজ আহমেদ৷ এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল৷ কয়েকদিন আগে এজাজ আহমেদ সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর গরু রাখবেন না৷ শুরু হল ঝামেলা। চারবছর আগের সেই বাছুর দুটোর একটা প্রমাণ সাইজের ষাঁড় অন্যটি বড়সড় গাভী হয়ে গিয়েছে৷ ঘিঞ্জি চারতলার ততোধিক ঘিঞ্জি সিঁড়ি দিয়ে তাদের নামানো এক সমস্যা৷

আবারও বুদ্ধি খাটালেন এজাজ আহমেদ৷ পোষ্য দুটোকে নামাতে ৬০ ফুট লম্বা একটা ক্রেন ভাড়া করলেন তিনি৷এরপর শুরু হল ছাদ থেকে গলিতে গরু নামানোর পর্ব৷ একে ঘিঞ্জি গলি তারপর লোকচলাচল কোনরকমে ঝুঁকি নিয়ে ক্রেন ঢুকল সেখানে৷ ততক্ষণে সবার চোখ আকাশে৷ উপর থেকে নেমে আসবে গরু৷

শত শত দর্শকের কৌতুহলী দৃষ্টির সামনে দড়িতে বাঁধা হল ছাদে থাকা ষাঁড় ও গাভীকে৷ এরপর এক এক করে তাদের নামিয়ে আনা হলো৷ মুহূর্তে স্মার্ট ফোনে বন্দি সেই ছবি৷ যা সোশ্যাল সাইটের কল্যাণে দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে৷ করাচির জরুরি পরিষেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমি জীবনে কখনো এরকম উদ্ধার অভিযানের কথা শুনিনি।



মন্তব্য চালু নেই