পাকিস্তানের পরাজয় খালেদাকে কষ্ট দেয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না বলেই খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট কেক কাটেন। পাকিস্তানের পরাজয় তাকে কষ্ট দেয়।

সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করেছেন। অসহযোগ আন্দোলনকে সশস্ত্র আন্দোলনে রূপান্তর দেয়া কঠিন কাজ হলেও বঙ্গবন্ধু সে কঠিন কাজটিই করেছিলেন।

ছাত্রলীগের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের অনেক অর্জন, অনেক ঐতিহ্যে। প্রতিটি সংগ্রামে শহীদের তালিকায় ছাত্রলীগের নাম আছে। ছাত্রলীগ গঠন করে বঙ্গবন্ধুই ভাষা আন্দোলন ও জাতির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের স্লোগান বঙ্গবন্ধুই ঠিক করে দিতেন। বঙ্গবন্ধু যখন জয় বাংলা স্লোগানকে ঠিক করলেন, তখন এই স্লোগানকে গ্রামে ছড়িয়ে দিতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের সঙ্গে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার মায়ের একটা সম্পর্ক ছিল। ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করতে প্রয়োজনে নিজের গহনা বিক্রি করতেও তিনি পিছপা হননি।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, পাকিস্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে। বঙ্গবন্ধু করাচির পার্লামেন্টে গেলেও আমার মা কখনো পাকিস্তান বা করাচি যাননি। কারণ আমার বাবার মনের ইচ্ছাটা তিনি জানতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা সবসময় সাধারণ জীবন যাপন করতেন। সবসময় আমাদের সে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি কখনও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাননি। ধানমন্ডির বাসাতেই থেকেছেন। বিলাসবহুল জীবন যাপনের শিক্ষা তিনি দেননি।

দেশ গঠনের আন্দোলন সংগ্রামে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান স্বরণ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি সংগ্রাম আন্দোলেন পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেছেন বঙ্গমাতা। কীভাবে একটি সংগ্রাম গড়ে তুলতে হয় তা তিনি জানতেন। আমি সংগ্রাম আন্দোলন যা শিখেছি তা মায়ের কাছ থেকে শেখা।



মন্তব্য চালু নেই