পাক সামরিক বাহিনীতে আসছে ৮ সাবমেরিন

চীন থেকে আটটি সাবমেরিন কিনছে পাকিস্তান। এ জন্য চীনের সঙ্গে কয়েক শ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে পাকিস্তান। এ সাবমেরিন পাকিস্তানের নৌবাহিনীকে সামুদ্রিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে।

ইসলামাবাদে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও চীনের রাষ্ট্রীয় জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিএসওসির প্রেসিডেন্ট ঝু জিকিন এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেন। এটিই চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

অবশ্য বিশাল ওই চুক্তির বিস্তারিত কিছু জানায়নি পাকিস্তান সরকার। চুক্তির আকার বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে চীনা প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটটি সাবমেরিন ক্রয়ের জন্য যে বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে দুপক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছছে।

বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাক নৌবাহিনীকে সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে একমত হয়েছে পাকিস্তান ও চীন। এই মর্মে আর্থিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়েছে। এটা দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে সংহত করবে।

চলতি বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সাবমেরিন ক্রয়ের জন্য চীনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ওই মাসেই পাকিস্তানের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, চুক্তিটি ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের হতে পারে, যা চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পাকিস্তান চার কিস্তিতে ওই চুক্তির অর্থ শোধ করবে। আর সাবমেরিনগুলো আগামী বছরগুলোতেই সরবরাহ করবে চীন।সুত্র আরো জানায়, প্রাথমিক এ চুক্তি চীনের উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে অনুমোদিত হবে। এরপরই চূড়ান্তভাবে চুক্তিটি সই হবে।

গত এপ্রিলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তান সফর করে যাওয়ার পর থেকেই বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তির খবর চাউর হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ০৩৯এ ধরনের সাবমেরিন চীনা নৌবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এটার বিদেশে রপ্তানি ভার্সন এস২০ সাবমেরিন কিনতে ইচ্ছুক পাকিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত বেশকিছু সাবমেরিন পাকিস্তানের রয়েছে। এগুলো পাক সামরিক বাহিনীকে আরো সুসংহত করবে।

তথ্যসূত্র : দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



মন্তব্য চালু নেই