চিঠিপত্র

পারিবারিক মূল্যবোধ

কিছু কিছু ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তোলে কিংবা শঙ্কিত করে। সম্প্রতি ধানমন্ডি লেকে জুনায়েদ নামের এক বখে যাওয়া ছেলের ঘটনা আমাদের মর্মকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সে তার বন্ধুর সঙ্গে শুধু উন্মত্ত তাণ্ডব চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তা আবার ভিডিও করেছে। এই রকম অমানবিকতা বা এর চেয়ে হিংস্র মনোভাব নিয়ে হয়তো শত শত তরুণ বেড়ে উঠছে। আর না হওয়ারও তো কারণ দেখি না, কারণ পারিবারিক মূল্যবোধগুলো বিনষ্ট হওয়ার পথে।

এই প্রজন্ম বেড়ে উঠছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গুরুজনদের অনৈতিকতা, দুর্নীতি ও মিথ্যাচার দেখে। যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে যাচ্ছে। শিশুরা বড় হচ্ছে ফ্ল্যাট নামক জেলখানায়। অধিকাংশ শিশু বেড়ে উঠছে গৃহকর্মীদের হাতে। ভেজাল খাবার খেয়ে, দূষিত আবহাওয়া আর অনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির মধ্যে। ইন্টারনেট এখন হাতের মুঠোয়। যেকোনো শিশু যখন ইচ্ছা যেকোনো সাইটে গিয়ে নিজের মনপছন্দ জিনিস দেখছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে পর্নো সাইটগুলো। তা ছাড়া, আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে আজ পুরো বিশ্ব হাতের মুঠোয়। আজ বাংলাদেশে কিশোর বা শিশুরা যেসব অপরাধ করছে, তার অনেকগুলোই মিলে যায় ভারতের সনি টিভিতে প্রচারিত ক্রাইম পেট্রোলে দেখানো সত্য কাহিনিগুলোর সঙ্গে।

প্রযুক্তি ছিল, আছে এবং থাকবে। রাষ্ট্র বা সমাজ কমজোর হলে পরিবারকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এর ব্যত্যয় হওয়ার জো নেই।

মুনিরা চৌধুরী
ধানমন্ডি, ঢাকা।



মন্তব্য চালু নেই