পালমিরার পুনর্দখল নিলো সিরিয়ার সেনাবাহিনী

সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রোববার পুনরায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কাছ থেকে দেশটির প্রাচীন নগরী পালমিরার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা একথা জানিয়েছে।

রুশ বিমান হামলার সহায়তায় পালমিরায় সিরিয়ার সেনাবাহিনী কিছুদিন ধরেই আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাফল্য লাভ করছিল। সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই নগরীটি বর্তমানে সেনাবাহিনীর ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

আইএস জিহাদিরা ২০১৫ সালে মে মাসে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা ও আধুনিক শহরটি দখল করে নেয়।

শনিবার সিরিয়ান সামরিক বাহিনীর পোষ্ট করা ছবিতে পালমিরায় হেলিকপ্টার ও ট্যাংক থেকে জিহাদিদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালাতে দেখা গেছে। তবে এই ফুটেজটির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, নগরীর পূর্ব প্রান্তে এখনও গোলাগুলি হচ্ছে। তবে আইএস বাহিনীর অধিকাংশই সেখান থেকে পিছু হটে আরো পূর্ব দিকে চলে গেছে।

শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের চালানো বিমান হামলা ১৫৮টি আইএস লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তাদের বিমান হামলায় শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে।

আইএস জিহাদিরা দুটি ২ হাজার বছরের পুরনো মন্দির, বিশেষভাবে নির্মিত ধনুক আকৃতির খিলান ও কয়েকটি সমাধিস্তম্ভ ধ্বংস করে। এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। জিহাদি সংগঠনটি সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ ইরাকের ইসলামপূর্ব যুগের বেশ কিছু বিশ্বখ্যাতি সম্পন্ন স্থান ধ্বংস করে।

আইএস জিহাদিরা এই সব স্থানগুলোকে পৌত্তলিকতার চিহ্ন মনে করে। ইউনেস্কো জিহাদিদের ওই ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ইউনেস্কো প্রাচীন সভ্যতার এই নগরীটি পুনরায় জিহাদিদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে।

সিরিয়ার পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মামুন আবদেলকারিম ‘সন্ত্রাসবাদের বিরদ্ধে একটি মেসেজ’ হিসেবে জিহাদিদের ধ্বংসকৃত প্রাচীন নিদর্শনগুলো যতটা সম্ভব মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই