পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় আবাসিক স্কুল হবে

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আবাসিক স্কুল স্থাপন করা হবে। কোন এলাকার কোন পয়েন্টে স্কুল করলে ওইসব এলাকার শিশুরা (পাহাড়ি) পড়তে পারবে, সে বিবেচনায় আরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।

পাহাড়ে আবাসিক স্কুলের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের যেন হেঁটে হেঁটে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে না হয়। এ ছাড়া সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যারা আছেন, তাদের উন্নয়ন করা দরকার। পাশাপাশি উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চল ও সিলেটের নৃগোষ্ঠীরও উন্নয়ন হবে। সমাজে সব শ্রেণির মানুষের জন্য চাই উন্নয়ন, উন্নত জীবন।’

রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৮০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

‘সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সবার উন্নয়নে কাজ করছে। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নেয়া হবে। উন্নত দেশ গড়তে হলে কাউকে অবহেলা করা যাবে না’, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র থেকে মুক্তি পায় না। আর আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই সামগ্রিক উন্নয়ন হবে।’

‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৫ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সে হার বাড়িয়ে ৬২ দশমিক ৫ এ উন্নীত করেছে। এজন্য ইউনেস্কো বাংলাদেশকে পুরস্কারও দিয়েছে’, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হিজড়া সম্প্রদায়কে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। হরিজনও রয়েছেন। বাংলাদেশ সবার। সব ধর্মের জন্য এই দেশ। সবার ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। সমাজে প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জন্য উন্নত জীবনই আমাদের লক্ষ্য, সে জন্য সবার দিকেই দৃষ্টি দিচ্ছি আমরা।’

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’। বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবৃত্তিপত্র তুলে দেন।



মন্তব্য চালু নেই