পায়রা বন্দরে বদলে গেছে লালুয়াবাসীর জীবনধারা

দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রাকে ঘিরে দ্রুত বদলে যাচ্ছে কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নবাসীর জীবনধারা। জমির দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কিছুদিন আগে কৃষিকাজ ও নদীতে মাছ ধরে যাদের জীবিকা চলতো, তাদের অনেকেই এখন পেশা পরিবর্তন করে নানা ধরণের ব্যবসা করছেন। জেলার সবচেয়ে নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা ছিল এই ইউনিয়ন। এ কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচেই ছিল বাসিন্দাদের জীবনমান।

২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি লালুয়া ইউনিয়নে রাবনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার জন্য কারিগরী ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা শুরু করে একটি বৃটিশ কোম্পানি। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জনপদ লালুয়া ইউনিয়ন।

বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হলে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের চোখ পড়ে এই জনপদে। এই বন্দরকে ঘিরে ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে ওই ইউনিয়নের মানুষের জীবনধারা। শুধু সরকারি উদ্যোগে নয় বেসরকারি উদ্যোগেও এখানে কন্টেইনার পোর্ট ও নানান ধরনের ভারী শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে বলে জানান নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

মন্ত্রী বলেন, এখানে একটি আধুনিক শহর গড়ে উঠবে। একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে। একটি নৌ টার্মিনালও হবে।

এছাড়া নৌবাহিনীর ঘাঁটি, শিপইয়ার্ড, তেল শোধনাগার এবং বিমানবন্দর তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান নৌ পরিবহনমন্ত্রী।

পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,পদ্মা সেতুর সঙ্গে পায়রা বন্দরের যোগাযোগ স্থাপন হলেই পুরো এলাকাটাই শহরের রূপ নেবে।



মন্তব্য চালু নেই