এটিএম জালিয়াতি: পিওটরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল কয়েকজন পুলিশের

এটিএম জালিয়াতি চক্রের প্রধান হোতা ডাচ নাগরিক পিওটর সিজোফেনের সঙ্গে পুলিশের বেশ কজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান যুগ্ম কমিশনার।

মনিরুল বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে পিওটর তার পরিচিত কোনো কোনো পুলিশ সদেস্যের কথা বলেছেন, যাদের সে চিনত, জানত এবং যাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আদালতে পিওটরের দেয়া জবানবন্দিকে গ্রহণযোগ্য মনে করে মনিরুল ইসলাম বলেন, সেই জবানবন্দিতে যদি কোনো পুলিশ সদস্যের নাম আসে তা যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি যেই হোন না কেন।

যুগ্ম কমিশনার বলেন, “এটিএম জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামি পিওটর ও আরও একজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে জবানবন্দির কপি আমরা এখনো পাইনি। আমরা যত দূর জানি, তারা নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আর কারা জড়িত এসব তথ্য তারা দিয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের কাছে কিছু দালিলিক প্রমাণও রয়েছে। কোনো কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার দালিলিক প্রমাণও পেয়েছি। তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা চলছে।”

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “আমরা ছয়-সাতজনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। কিছু নামিদামি প্রতিষ্ঠানের নাম আসছে, যার কর্তা ব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া ২২-২৩টি প্রতিষ্ঠান জড়িত। যাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের বিষয়ে দালিলিক প্রমাণ পেলেই আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।’

৬ থেকে ১২ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীর গুলশান, মিরপুরের কালশী ও বনানী এলাকার ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবির চার এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি ও পরবর্তী সময়ে গ্রাহকের অজান্তে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে তা জানাজানি হয় ১২ ফেব্রুয়ারি।

কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ওই দিনই বনানী থানায় মামলা করে ইউসিবি। পরে রাজধানীর পল্লবী থানায় আরও একটি মামলা করে সিটি ব্যাংক।



মন্তব্য চালু নেই