পিঠব্যথা দূরকরণে আপনার করণীয়

পিঠব্যথার কারণগুলো মেরুদণ্ড এবং এর সহায়তাকারী মাংসপেশিগুলো থেকে উৎপন্ন হতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো, যাঁদের স্নায়ু সরবরাহের কিছু শাখা পিঠে বিস্তৃত, সেখান থেকেও পিঠব্যথা হতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণেও পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে। পিঠব্যথা প্রতিরোধে যা করবেন –

– দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে একটি পা প্ল্যাটফর্মের ওপরে কিংবা টুলের ওপরে রেখে দাঁড়াতে হবে।

– চেয়ারে বসে কাজ করার সময় কিংবা চেয়ারে বসে থাকার সময় যদি চেয়ারটি আপনার পিঠকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে না পারে, তাহলে চেয়ার ও আপনার পিঠের মধ্যের ফাঁকা জায়গাটা পূরণে কুশন ব্যবহার করুন। – ঘুমানোর সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন। শক্ত তোষক বা জাজিমের ওপর ঘুমান।

– মুখ নিচের দিকে রেখে ঘুমাবেন না।

– চিৎ হয়ে ঘুমাবেন। যদি পাশ ফিরে ঘুমাতে চান, তাহলে সে পাশে একটি হাঁটু সামান্য বাঁকা করে ঘুমাবেন।

– পিঠব্যথা প্রতিরোধে পেট ও পিঠের মাংসপেশিকে সবল করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে পেট ও পিঠের মাংসপেশি সবল হয়। এসব ব্যায়ামের প্রতিটি ১০ বার করতে হবে। মাংসপেশির সবলতা বাড়লে ব্যায়ামের পরিমাণ আরো বাড়ানো যাবে। যদি কোনো ব্যায়ামে ব্যথা হয়, তাহলে ওই ব্যায়াম বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যায়ামের নিয়ম–

১. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। পেটের মাংসপেশিগুলো সংকুচিত করে পিঠকে মেঝের বিপরীতে চাপ দিতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর শিথিল করতে হবে।

২. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। যতদূর পারা যায় মাথা ও কাঁধ ওপরের দিকে তুলতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর শিথিল করতে হবে।

৩. উপুড় হয়ে শুতে হবে। ডান পা সোজা রেখে যতদূর সম্ভব ওপরে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ সময় হাঁটু কিছুতেই ভাঁজ করা যাবে না। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর ধীরে ধীরে পা নামাতে হবে। এরপর বাঁ পা একই রকম করতে হবে। প্রতি পায়ের জন্য পাঁচবার করতে হবে। কারো একবার পিঠব্যথা হলে ব্যথা সেরে যাওয়ার পর আবার যাতে এ ধরনের ব্যথা না হতে পারে, সে লক্ষ্যে ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্যও এসব ব্যায়াম করা যেতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই