‘পিলখানা ট্র্যাজেডি আর হতে দেওয়া হবে না’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, পিলখানা ট্র্যাজেটিতে যারা জড়িত, তাদের সাজা হয়েছে। আর কেউ জড়িত আছে কি না- তাও খতিয়ে দেখা হবে।

রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজিবি প্রধান বলেন, সাত বছর আগে ঘটে যাওয়া পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তদন্ত করে দেখা হয়েছে। এর নেপথ্যে যারা আছে, তাদের সাজা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে আর ঘটতে দেওয়া হবে না।

তিনি নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় বিডিআর সদস্যদের বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে হত্যাকাণ্ড ঘটে। এতে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা এবং ১৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনার পর বিদ্রোহের অপরাধে একটি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

দীর্ঘ বিচার শেষে আদালত হত্যার দায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন। এদের একজন ছাড়া সবাই তৎকালীন বিডিআরের সদস্য। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১৬১ জনকে। সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছেন আরও ২৫৬ জন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।

নিম্ন আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সেই আপিল আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই