পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ

গরমের শাক-সবজির মধ্যে পুঁইশাক বেশ জনপ্রিয়। দেশজুড়ে পুঁইশাকের রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছেই প্রিয়। পুঁইশাক অনেক গুণে গুণান্বিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। চলুন পুঁইশাকের জেনে নেই স্বাস্থ্য উপকারিতা।

গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত শাক, বিশেষ করে আঁশজাতীয় শাক, যেমন পুঁই বা মিষ্টিকুমড়ার শাক খায়, তাদের পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।

পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।

এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `এ` এবং `সি`, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, বৃদ্ধি ও বর্ধনে সাহায্য করে, চোখের পুষ্টি জোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে।

আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী ও কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। পুঁইশাকে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। তবে অনেকের পুঁইশাকে অ্যালার্জি আছে।

পুঁইশাক ভাজি কিংবা ঝোল রান্না করা ছাড়াও পাকোড়া বানিয়ে খাওয়া যায়। তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পুঁইশাক রাখুন।



মন্তব্য চালু নেই