পুতিনের সমালোচকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক এবং প্রাক্তন তেল সম্রাট ধনকুবের মিখাইল খোরদর্কোভস্কিকে সাইবেরিয়ার একটি শহরের মেয়র হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করার জন্য রাশিয়া একটি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছে।

খোরদর্কোভস্কি প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নিন্দা করে বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক সংবাদে সাড়া ফেলেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ১৯৯৮ সালে নেফতেউগাংস্কের মেয়রকে হত্যা করার জন্য তার আজ্ঞাধীন ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। রুশ তদন্তকারী কমিটি বলেছে, তিনি তার ইয়ুকুস তেল কোম্পানির কর ফাঁকি দেয়ার জন্য এই কাজ করেছিলেন।

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, খোরদর্কোভস্কি ইতিমধ্যে জালিয়াতি এবং কর ফাঁকি মামলায় ১০ বছর জেল খেটেছেন। তার মতে, এটা ছিল তাকে ফাঁসানোর জন্য একটা রাজনৈতিক চাল। তারপর ২০১৩ সালে হঠাত করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে তিনি মুক্তি পান।

বুধবার রুশ তদন্ত কমিটির পরিচালক ভ্লাদিমির মার্কিন বলেছেন, ‘গুরুত্বর অপরাধ করে কেউ পালাতে পারবে না। সে রাশিরার যেই প্রান্তেই থাকুক না কেন, এমনকি এন্টার্কটিকায় ও যদি লুকিয়ে থাকে আমরা তাকে খুঁজে বের করবো।’

এদিকে খোরদর্কোভস্কি এখন বসবাস করছেন সুইজারল্যান্ডে। তিনি এই অভিযোগ শুনে বলেছেন, ‘ওরা পাগল হয়ে গেছে। কোন কারণ ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা এবং পুরনো ঐ মামলার জন্য এমন সব মানুষকে তারা হয়রানি করছে যারা ঘটনার সময় ছিল মাত্র ১০ বছরের বাচ্চা। এটা যে ভাঁওতাবাজি সেটা প্রমাণের জন্য আর কি প্রয়োজন ?’ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার কথা ভাবছেন।

উল্লেখ্য, মিখাইল খোরদর্কোভস্কি একসময় ছিলেন রাশিয়ার সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি। তাকে হয়রানি করার জন্য রাশিয়া আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। মিখাইল বলেছেন তেল কোম্পানি দখল করার জন্য এটা ছিল ক্রেমলিনের একটা রাজনৈতিক চাল এবং প্রকাশ্যে পুতিনের সমালোচনা করার জন্য আবার তাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই