পুনরায় সম্পর্কে জড়াতে ডিভোর্সিদের জন্য ১০ টিপস

বর্তমান সমাজে বিবাহ-বিচ্ছেদ যেন নিত্য ঘটনা হয়ে দাড়িঁয়েছে। সময়ের সাথে সাথে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এই বিচ্ছেদের হার। বিচ্ছেদের কারণে নিঃসঙ্গ হয়ে যাওয়া মানুষেরা আত্মবিশ্বাসের অভাবে পুণরায় সম্পর্কে জড়াতে পারেন না। পেশাজীবন, অতীত সম্পর্ক, সন্তান প্রভৃতির ভিড়ে অধিক বয়সী নিঃসঙ্গ মানুষকেও দেখা যায় প্রেমে উৎসাহী হয়ে উঠতে। কিন্তু সংশয় ও দুশ্চিন্তা তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেধেঁ রাখে।

পুণরায় প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে অনুস্মরণ করা যেতে পারে যে দশটি ধাপ-

পুনরায় সম্পর্কে জড়ানোর আগে সময় নিন: দ্বিতীয়বার প্রেমে পড়ার ব্যপারটি তুলনামূলক জটিল। তবে সময়ই সহজ করে দিতে পারে এই কাজটিকে। বিচ্ছেদের তিক্ত অনুভূতি কাটিয়ে উঠতে সময় নেয়া প্রয়োজন। যন্ত্রনার উপসম না হলে পুণরায় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় না।

কৌতুক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সময় কাটান: শুধুমাত্র প্রেমের দিকে ধাবিত হলে হতাশা পেয়ে বসে। বন্ধুত্ব এবং আনন্দ-কৌতূকের মাধ্যমে সঠিক মানুষটি নির্বাচন করতে হয়। প্রেমের ক্ষেত্রে নারীরা কতটা উৎসাহী তা বোঝা যায় কিছু লক্ষণ থেকে। যেমন- সব কথায় হাসা, প্রথমবার রিং হতেই ফোন রিসিভ করা, ম্যাসেজের দ্রুত উত্তর দেয়া ইত্যাদি। অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে না করে সবকিছুকে হালকাভাবে নিন।

আবেগপ্রবণতা: অপ্রকাশিত রাগ পুষে রাখা, নিজেকে প্রেমের অযোগ্য ভাবা ইত্যাদি আবেগের মধ্য দিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষতচিহ্ন ঘুরেফিরে মানুষকে আলোড়িত করে। এমনকি পুরনো সঙ্গীর কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাও জাগতে পারে। অনিশ্চয়তায় ভুগলে প্রকৃত সুখী হওয়া যায় না। কাজেই নতুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাহচর্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন।

নিজের সম্পর্কে আস্থা রাখুন: আপনি ঘরমুখো হতে পারেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে আনাড়ি হতে পারেন তাই বলে নিজেকে জাহিরের জন্য মিথ্যে ভান করা থেকে বিরত থাকুন। নিঃসঙ্গ পুরুষেরা সৎ এবং বিশ্বাসী মানুষ পছন্দ করে। সুতরাং সম্ভাবনাময় কোন মানুষের দেখা পেলে তার সাথে যতটা সম্ভব সৎ থাকুন।

ধীর গতিতে সামনে আগান: বিচ্ছেদের পর থেকে দীর্ঘদিন একা থাকা অসহনীয় মনে হচ্ছে! কিন্তু দ্রুত কোন সিদ্ধান্তে যাওয়া ঠিক হবে না। নিজেকে সুখী করতে পারলে সঙ্গীকেও সুখী করা সম্ভব। কারো সাথে পরিচিত হওয়ামাত্রই সম্পর্কে জড়াতে ব্যস্ত হবেন না। অত্যধিক ম্যাসেজ করা বা দেখা করা থেকে বিরত থাকুন। ধীরতার সাথে এগোলে সম্পর্কে ভাঙনের সম্ভাবনা কম থাকে।

সঙ্গীর মনোভাব বুঝে নিন: কাউকে ভালোভাবে বুঝে নিতে প্রাক্তন সঙ্গী সম্পর্কে তার বলা পাচঁটি নেতিবাচক বিষয় লক্ষ্য করুন-

১. সবসময়ই সে ভুল করে- অর্থাৎ, মানুষটি অন্যের উপর দায় চাপায়।

২. সে পুণর্বার বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না- অর্থাৎ, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সে হালকাভাবে দেখে।

৩. তার রুচি খারাপ- অর্থাৎ, কিছু ক্ষেত্রে সে আপনাকে সিদ্ধান্ত দিতে চায়।

৪. সম্পর্ক সবসময়ই যন্ত্রনাদায়ক- অর্থাৎ, সে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।

৫. প্রাক্তন সম্পর্কের জন্য অনুতাপ- অর্থাৎ, সে আবেগপ্রবণ এবং অপরিণত।

পুরনো সম্পর্ককে সাজানোর ইচ্ছা: দুটি সম্পর্ক কখনো একইরকম হবে না। অনেকে পুরনো সঙ্গীর কাছে ফিরে যেতে চান। বিবাহবিচ্ছেদে অনিচ্ছা থাকলে এটা করা যায়। কিন্তু বিচ্ছেদের পর পুরনো সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কথা ভাববেন না। এক্ষেত্রে নতুন কারো সাথে পরিচিত হওয়া এবং তাকে সহজভাবে নেয়ার ওপর আপনার প্রেমের সাফল্য নির্ভর করবে।

বিচ্ছেদের পর পরই যৌন সম্পর্ক: যৌনতা বিষয়ে যে কোন সময় আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু নিশ্চিত হয়ে নিন সঙ্গীর সাথে যৌনতার ব্যপারে আপনি আত্মবিশ্বাসী কি না। ৫ টি কারণে যৌনসম্পর্কে জড়ানো ঠিক হবে না:

১. নিজেকে এখনো পুরুষদের কাছে আকর্ষণীয় প্রমাণ করতে।

২. নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যৌনতায় জড়ানো।

৩. অতীত সঙ্গীকে ভোলার জন্য যৌনতায় জড়ানো।

৪. অতীত সঙ্গীকে ঈর্ষাণি¦ত করতে।

৫. নতুন সঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে।

ডেটিং এর আত্মবিশ্বাস বাড়ান: আত্মবিশ্বাস বাড়াতে প্রতিদিন নতুন কিছু করুন। নিজের গুণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকুন। ডেটিংকে সহজভাবে নিন। এটা ভাববেন না যে, কোন পুরুষই আপনার কাছে আকর্ষণীয় নয়।

পরিচয় প্রদানে ব্যস্ত হবেন না: যদি আপনার সন্তান থাকে, তাদেরকে নতুন সঙ্গীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে সময় নিন। মনে রাখুন, কোন কারণে সম্পর্ক ভেঙে গেলে শুধু আপনি নন, তারাও মনোকষ্টে ভুগবে।



মন্তব্য চালু নেই