পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোর অভিযোগে যশোরে আটক ৪

যশোরে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানার অভিযোগে এক ক্লিনিক মালিকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজারে মহুয়া ক্লিনিক থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা হলেন, মহুয়া ক্লিনিকের মালিক খলিলুর রহমান (৫০), তার ভাই হাবিবুর রহমান (৪৮), সেবিকা রাজিয়া সুলতানা ওরফে হাবিবা (২৮) এবং শান্তা (৩৫) নামে এক হিজড়া।

বসুন্দিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সোহরাব হোসেন জানান, তার কাছে খবর ছিল বসুন্দিয়া মোড়ে মহুয়া ক্লিনিকে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে তাকে হিজড়া বানানো হয়েছে। লিঙ্গ পরিবর্তনের পর তার নাম রাখা হয়েছে শান্তা। এই খবরের ভিত্তিতে তিনি ফোর্স নিয়ে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালান। সেখান থেকে ওই চারজনকে আটক করা হয়।

সোহরাব হোসেন আরও জানান, ক্লিনিক মালিক খলিলুর রহমান অষ্টম শ্রেণি পাস। তিনি কোনো ডাক্তারের পরামর্শপত্র পড়তেও পারেন না। ক্লিনিক খুলে মানুষকে প্রতারিত করাই তার কাজ। খলিলুর এর আগেও একবার মোবাইল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন।

‘খলিলের চারটি স্ত্রী। তার চারিত্রিক বিষয়াদি নিয়েও অনেক অভিযোগ রয়েছে’, বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা সোহরাব।

আটক খলিলুর রহমানের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘শান্তা নামধারী ওই যুবক এক বছর আগে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া হয়েছে। তার প্র¯্রাবের নালিতে জ্বালাপোড়া ছিল। সে কারণে শান্তা মহুয়া ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিতে এসেছিল।’ এই ক্লিনিকে তাকে হিজড়া বানানো হয়নি বলে দাবি করেন মাহমুদা।

জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘পুরুষাঙ্গ কেটে এক যুবককে হিজড়া বানানোর ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি। আমি এখন থানার বাইরে আছি। ফিরে এসে বিস্তারিত বলতে পারব।’



মন্তব্য চালু নেই