পুরুষের লালসা বিয়ের পরও কমে না!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত পুরুষরাও যৌন লালসা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে যৌন সংযম না করাসহ কোনো প্রতিশ্রুতিই কাজে আসে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, নববিবাহিত পুরুষরা তাদের বিয়ের পরও একটুও কমেনি বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা তাদের এই স্বভাবকে শয়তান প্ররোচিত এবং পাশবিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এ ছাড়া বিবাহিত পুরুষরা আরও বলেছেন, বিয়ের পর তাদের এমন অনুভুতি হয়েছে যে বন্ধুদের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে কোরো আলাপ করাও উচিৎ হবে না। এমনকি তারা জানেন না বিষয়টি নিয়ে কীভাবে তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সারা ডিফেনডর্ফ বলেন, ‘যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাধুতা এবং যৌন সংযমের বিষয়টিকে সাধারণত মেয়েলি স্বভাব বলেই মনে করা হয়। কিন্তু বিষয়টিকে আমি পুরুষদের দিক থেকেও পর্যবেক্ষণ করতে চাই।’

গত ১৭ আগস্ট সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত আমেরিকান সোসিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় এ বিষয়ে তিনি একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ১৫ জন যুবকের সঙ্গে পর্যবেক্ষণমূলক আলাপ-আলোচনার পর ডিফেনডর্ফ জানতে পারেন যে, বিয়ের পরও তারা তাদের যৌন কামনা নিয়ে বিপাকে থাকেন। তারা তাদের যৌন লালসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

নববিবাহিত পুরুষরা যৌনতা সম্পর্কে এমনভাবে কথা বলেন যেন তা খুবই পবিত্র কোনো বিষয় যা শুধুমাত্র দাম্পত্য বিছানার জন্যই নির্ধারিত। আর বিয়ে বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক মাত্রই পাশবিক আচরণ!

বিবাহিত পুরুষরা আরো জানান যে, বিয়ের পর নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা নিয়েই তারা যৌনতা সম্পর্কে ভেবে থাকেন। আর বিয়ের পরও কীভাবে পর্নোগ্রাফি এবং বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের লোভে উৎসাহিত যৌন লালসা দূর না হয়ে বরং অব্যাহত থাকে।

ডিফেনডর্ফ যে ১৫ জন পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের একজন বলেছেন, ‘যৌনতা সম্পর্কে বিয়ের আগে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি মোকাবেলা করতে হয় তা হল, বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক। কিন্তু বিয়ের পর আর সে সমস্যা থাকে না। এরপর আপনাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় মোকাবেলা করতে হবে। এমনকি বিয়ের পর প্ররোচিত করার জন্য শয়তানকেও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে ভাবতে হয়।’



মন্তব্য চালু নেই