পুরুষের সঙ্গে করমর্দন করায় সাজা বাড়লো ইরানি শিল্পীর

ইরানে ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে থাকা চিত্রশিল্পীর শাস্তি আরো বাড়লো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার পুরুষ আইনজীবীর সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন।

আতেনা ফারগাদানি নামে ওই শিল্পীকে ইরানের সংসদ সদস্যদের ব্যঙ্গাত্মক ছবি আকার অপরাধে ২০১৪ সালের আগস্টে গ্রেফতার করা হয়। মাত্র আধ-ঘণ্টার বিচারকার্য শেষেই ২৯ বছর বয়সী এই শিল্পীকে সাজা দিয়ে দেয়া হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতে, অপপ্রচার চালানো, রাষ্ট্রপতি অবমাননাসহ তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ ছিলো।

অ্যামনেস্টি ইন্টার‌ন্যাশনালের ইরান বিশেষজ্ঞ এলিস অরবেক জানান, ‘ইরানের আইনে কর্তৃপক্ষের পক্ষে দাড় করানোর জন্য সবসময়ই কোনো না কোনো ধারা প্রস্তুত থাকে।’

তার এই সাজার বিষয়ে জুনেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও ব্যাপারটি মিডিয়ার নজর কাড়ে যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায় যে তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানেনা।

অর্বেক বলেন, ‘অবিবাহিত নারী-পুরুষের যোগাযোগের জন্য এক অন্যরকম শাস্তির বিধান রয়েছে। কখনো ৭৪টি চাবুকের বিধানও রয়েছে। মোহাম্মদ আলি তাহেরি নামের এক ধর্মীয় নেতার এমন শাস্তি হয়েছিলো কারণ তিনি একজন নারীর হাত স্পর্শ করেছিলেন।

আর এবার ফার্গাদানি এবং তার আইনজীবী উভয়েই এমন শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। তবে কবে নাগাদ সেটা হতে পারে তা জানেন না বলেই জানান তিনি।

২০১৪ সালের আগস্টে ফার্গাদানিকে গ্রেফতার করার পর নভেম্বরে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পেয়ে তিনি তারাগারে তার উপর নৃশংস নিপীড়নের কথা একটি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে সবাইকে জানায়। ৯ ঘণ্টা ধরে তার উপর নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর এজন্যই জানুয়ারিতে আবারো তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।



মন্তব্য চালু নেই