পুলিশকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ

দুই বিদেশি নাগরিক খুনের ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে রাজধানীতে কর্মরত পুলিশদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে বাড়ানো হয়েছে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাভেল্লা চেজারের খুনের পর পরই গুলশান, বারিধারাসহ কূটনীতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বৃদ্ধি করা হয় পুলিশের সংখ্যাও। এর কয়েকদিন পর রংপুরে জাপানি নাগরিক খুনের পর আরো জোরদার করা হয় রাজধানীর নিরাপত্তা। অভিযান চালানো হচ্ছে মোটর সাইকেল এবং এর আরোহীদের ওপর। ৩ জন মোটর সাইকেলে চড়লেই করা হচ্ছে মামলা। বিদেশি নাগরিকরা অবস্থান করছেন কিংবা কাজ করছেন এমন সব স্থানে পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশের ফুট পেট্রোল এবং মোটর সাইকেল পেট্রোলও জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে রেনডম চেকপোস্টের সংখ্যাও।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, দুই বিদেশি খুনের ঘটনা প্রায় একই রকম ছিল। খুনিরা একইভাবে মোটর সাইকেলে এসে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। যারাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা একদিকে যেমন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে, সেইসঙ্গে দেশেও জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। বর্হিবিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন কিংবা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দুর্বৃত্তরা পুলিশের উপরও অক্রমণ করতে পারে। তাই পুলিশকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়েও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

ডিএমপি’র উপ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড পাবলিকেশনস) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একদিকে যেমন পুলিশের টহল এবং পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশের নিজেদের নিরাপত্তার দিকেও নজর দিতে অফিসিয়াল নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই