পুলিশের এ কেমন নিষ্ঠুরতা?

থানায় নিয়ে নির্যাতন করার ঘটনা অহরহই ঘটে। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্য বাজারে কাউকে পুলিশের নির্যাতন অপমান করার ঘটনা খুব একটা ঘটে না। পুলিশবাদী মামলার এক আসামিকে থানায় পিটিয়ে মাথা কামিয়ে জুতার মালা পরিয়ে জিপের বনেটে বেঁধে বাজারে ঘুরানোর ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে ঘটা এ ঘটনা ঘিরে দেশজুড়েই চলছে বিতর্ক।

গত ৩০ মে মাহিদপুরে এক বাইক রেসিং প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে দুই দল তরুণের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশের দাবি, জামালপুরা টোড়ির বাসিন্দা সমাজবিরোধী আব্দুল কাদির গণ্ডগোলের সুযোগ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিতে গেলে মাহিদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শ্যামচন্দ্র শর্মাকে আক্রমণ করেন কাদির।

এলাকাবাসী বলছে, বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় সাব-ইন্সপেক্টর শর্মার গলার হাড় ভাঙে। দুই কনস্টেবলও আঘাত পান। কিন্তু এই ঘটনার জেরে পুলিশ আব্দুল কাদির, তার স্ত্রী আবিদা বাই এবং হুমা ও সাহিবা নামে দুই আত্মীয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে।

বৃহস্পতিবার কাদিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। থানায় নিয়ে তাকে মারধর করা হয়। এরপর মাথা কামিয়ে, জুতোর মালা পরিয়ে জিপের বনেটের সঙ্গে বেঁধে এলাকার বাজারগুলোতে ঘোরানো হয়। সাহায্য চেয়ে চিৎকার করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।

মাহিদপুর থানার পুলিশের এই আচরণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি সামলাতে অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ। উজ্জয়িনীর আইজি মধু কুমার বলেন, এই আচরণ কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

এদিকে আব্দুল কাদিরকে এদিন আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।



মন্তব্য চালু নেই