পুলিশের খামখেয়ালিতে ৩ মাস জেলখেটে মুক্তি পাচ্ছেন লাকী!

পুলিশের খামখেয়ালিতে বিনা অপরাধে প্রায় ৩ মাস জেল খাটার পর অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মোসা. লাকী (২৬)।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ৮ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আবুল কাশেম তাকে মামলাটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল মোসা. মুক্তা (২২) নামের এক যাত্রী বিমানযোগে কুয়ালালামপুর থেকে দেশে আসলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক কেজি পরিমাণ ১০টি স্বর্ণের বারসহ আটক হন।

স্বর্ণপাচারের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। মামলা নম্বর ২৯(৪)১৫। ঢাকার সিএমএম ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মুক্তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

নি¤œ আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর মামলার কাগজপত্রে ১ কেজি স্বর্ণের স্থলে ২৫ বোতল ফেনসিডিল বসিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ইকবাল হোসেন নামে এক আইনজীবী হাইকোর্ট থেকে গত ৯ জুলাই জামিন করান। এরপর আসামি মুক্তা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জাল-জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লে হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করেন। জামিন বাতিল হওয়ার পর আসামি মুক্তার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় বাড়িতে মুক্তার বোন লাকীকে ধরে মুক্তা বানিয়ে আদালতে চালান দেন যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই শামছুল হক।

বৃহস্পতিবার মূল আসামি মুক্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক আবুল কাশেম বিনা অপরাধে কারাগারে থাকা মুক্তাকে অব্যাহতির আদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে মুক্তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান জানান, পুলিশের খামখেয়ালির শিকার হয়ে একজন নিরাপরাধ মানুষ প্রায় ৩ মাস জেল খাটলেন। পুলিশ প্রশাসনের এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই শামছুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, জামিন জালিয়াতি করেছিলেন আইনজীবী ইকবাল হোসেন। তাই ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই