পুলিশের সিদ্ধান্তে ঈদ যাত্রার শুরুতেই ভোগান্তি

পুলিশের সিদ্ধান্তে বাড়ি ফেরার শুরুর আগেই দেড় ঘণ্টা যানজটের কবলে যাত্রীরা। মহাখালী বাসম্ট্যান্ড থেকে বের হওয়ার রাস্তায় সোজাপথে বের হয়ে আসতে না দিয়ে সাতরাস্তার দিকে তিব্বত মোড় দিয়ে ঘুরে আসতে গিয়ে গাড়িগুলোতে অতিরিক্ত এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি আটকে দিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আন্তঃজেলা বড় বাসগুলো তিব্বত মোড় দিয়ে ঘুরে আসছে। এর ফলে দুই পাশেই গাড়িগুলো দীর্ঘ সময় আটকে থাকে। এর ফলে মহাখালী থেকে সাতরাস্তা এবং সাতরাস্তা থেকে মহাখালী রাস্তার দুই পাশেই লেগে যায় তীব্র গাড়ির জট। এতে কেবল ঈদে ঘরমুখো মানুষরাই নয়, সাতরাস্তা হয়ে যারা গুলশান ও মহাখালীতে যান তাদেরকেও পড়তে হয়েছে মহাবিপাকে। আর এর প্রভাব পড়েছে ওই দুই রাস্তা সংলগ্ন আশপাশের অলি-গলি ও এর শাখা-প্রশাখা রাস্তাগুলোতেও।

রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এসআর পরিবহনের যাত্রী এনামুল হক বলেন, ‘ভাই পুলিশের উদ্ভট সিদ্ধান্তে শুরুতেই দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকে আছি। এরপর মহাখালী মোড়, বানানি মোড় পার হতে হবে। ঢাকা ছাড়তেই তো ৩/৪ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। এরপর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক তো আছেই। বুঝিনা পুলিশের এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক।’

নওগাঁর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একতা পরিবহনের বাসচালক বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি গাড়িগুলো বের হতে দিলে এই যানজট হতো না। দেখেন না এক ঘণ্টা ধরে আটকে আছি, গাড়ি এখনো তিব্বত মোড়ই ঘুরাতে পারিনি। বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়িগুলো যদি সরাসরি বের হতে দেয়া হতো তাহলে এই সমস্যা হতো না। পুলিশ কেন এভাবে কাজ করছে তা জানি না।’

এই সিদ্ধান্তকে সঠিক দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে এখানে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছি। এই দুই রাস্তায় গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত না নিলে গাড়ির চাপ আরও বেড়ে যেত।’ ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই