‘পুড়িয়ে হত্যাকারীরাই দেশে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা প্রকাশ্যে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করত, তারাই এখন পদ্ধতি বদল করে গুপ্তহত্যা শুরু করেছে। তবে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে নেই। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি দেশ সফর সম্পর্কে জানাতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় নিজের বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, এটা যারা চায় না, তারাই এই গুপ্তহত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করছে। তবে দেশের সব মানুষ সচেতন থাকলে কারো কোনো নীলনকশাই বাস্তবে রূপ নেবে না।

ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই শেষ বিচার করবেন। এভাবে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে ইসলামকেই ছোট করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লন্ডন সফর, বুলগেরিয়ায় গ্লোবাল উইমেন লিডারস ফোরামে যোগদান, সৌদি আরব সফর, ওমরাহ পালন, সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে শুধু শ্রমিক নয়, দক্ষ পেশাজীবী যেমন—চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্সও নেবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সৌদি আরবে অবস্থিত কাবা শরিফের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সামরিক সহযোগিতা দিতেও প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি।

সফরে সৌদি আরবের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে আসবে দেশটির একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল।

সৌদি আরবে বড় পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এখন বিনিয়োগে আগ্রহী।



মন্তব্য চালু নেই