পূর্ণিমার আর ফেরা হলো না!

ফেরার ইচ্ছে ছিলো। নিয়মিত হবার ইচ্ছে ছিলো অভিনয়ে। কিন্তু তা আর হলো না পূর্ণিমার। তার হাতে বেড়ি। পায়ে বেড়ি। অন্তরে বেড়ি তার।

এই বেড়ি সংসারের। মায়ার। ভালোবাসার। সামাজিকতার। যার জন্য সে সংসার ধর্মটাকেই প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। ফলে অভিনয়ে ফেরার কথা মাথা থেকে একেবারেই ঝেরে ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

ঢালিউডে পূর্ণিমাকে সবাই মিষ্টি মেয়ে বলেই জানেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পূর্ণিমা বড় পর্দা থেকে দূরে গিয়ে অনেকটা কষ্টেই আছেন।

২০০৭ সালে ভালোবেসে তিনি বিয়ে করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ ফাহাদ জামিলকে। এরপরই বড় পর্দায় অনিয়মিত।

সুত্র জানায়, বিয়ের আগে পাত্র আশ্বাস দিয়েছিলেন বিয়ে পূর্ণিমার অভিনয় ক্যারিয়ারের জন্য বাধা হবে না। কিন্ত বিয়ের পর ফাহাদের মুখে বাজতে থাকে অন্য সুর। ফাহাদের পরিবারও ছেলের সঙ্গে সুর মেলায়।

পূর্ণিমা যাতে ছবিতে কাজ করতে না পারেন সে জন্য তাকে মাসের বেশির ভাগ সময় চট্টগ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হয়। মাঝে বুঝিয়ে শুনিয়ে অভিনয়ে ফেরার ব্যপারে পূর্ণিমা রাজি করালেও পরে আবার বেঁকে বসেন ফাহাদ। এই অবস্থা আরও জটিল হয় গত বছর তিনি মা হলে।

এখন ফাহাদ নাকি বলছে, অভিনয়ের ভূত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে তাকে। স্বামী-সন্তানই হতে হবে তার সব চিন্তা চেতনা। স্বামী ও তার পরিবারের চাপের কাছে নাকি অনিচ্ছা সত্ত্বেও নতি স্বীকার করতে হচ্ছে পূর্ণিমাকে। কারণ পূর্ণিমা চান না ঘর ভাঙ্গা শিল্পীর তকমা জুটুক তার কপালে।

১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে চিত্র জগতে পূর্ণিমার অভিষেক। এরপর দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেন তিনি। জাতীয় স্বীকৃতি ও দর্শকপ্রিয়তা পান সহজে।



মন্তব্য চালু নেই