পেঁয়াজের গুণাগুণ

প্রতিদিনের রান্নায় যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় তা হল পেঁয়াজ। রান্নায় শুধু স্বাদ বাড়ানোই না, পেঁয়াজের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারী গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁয়াজে পাবেন ৪০ কিলো ক্যালরি, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৪৬ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ১.৭ গ্রাম, প্রকৃতিক চিনি ৪.২ গ্রাম, প্রোটিন ১.১ গ্রাম। এই উপাদানগুলি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আসুন জেনে নেয়া যাক।

হৃদপিণ্ডের সুস্থতা

খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ অথবা পেঁয়াজের রস খেলে এটি রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে। ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া এবং হৃদরোগসহ নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করে।

প্রদাহ

পেঁয়াজে রয়েছে প্রদাহ নাশক গুণাগুণ। এটি আর্থ্রাইটিস ও গেঁটে বাত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

জীবাণুনাশক

পেঁয়াজের জীবাণুনাশক ক্ষমতার জন্য এটি ই-কোলাই ও স্যামোনেলা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও সিসটাইটিস ধরনের মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ রোধের জন্য পেঁয়াজের রস বেশ উপকারী।

অ্যালার্জি প্রতিরোধ

পেঁয়াজে থাকা কোয়েরসেটিন নামক অ্যান্টিহিস্টামিন অ্যাজমার জন্য উপকারী।

শ্বাসতন্ত্রের রোগ

ঠাণ্ডা কাশির মতো সাধারণ রোগের ক্ষেত্রেও সেরা ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের মাঝে থাকা তেল শুধুমাত্র শ্লেষ্মা কমাতেই সাহায্য করে না সঙ্গে তা প্রতিরোধও করে। এটা ব্রংকাইটিস, রক্ত জমাট বাধা এবং বিপাকীয় সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্যও বেশ উপকারী।

অস্টিওপোরোসিস

পেঁয়াজ ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের মাঝে এমন একটি উপাদান রয়েছে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তাই পেঁয়াজ আমাদের দেহের হাড়ের রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিস বা অস্থিক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়

নিয়মিত পেঁয়াজ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেলে দাঁতের ক্ষয় এবং মুখের ভেতরের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই সালাদের মাঝে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখের ভেতরের জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ

পেঁয়াজে থাকা ক্রোমিয়াম ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে এবং গ্লুকোজ সহনশীলতার মাত্রাকে উন্নত করতে সাহায্য করে।



মন্তব্য চালু নেই