পেটের পীড়া দূর করবে এই খাবারগুলো

নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভুগলে তা জীবন ধারায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে। পেটে ব্যথার সাথে সাথে যদি ৫ মিনিট পর পরই টয়লেটে যেতে হয় তাহলে তা হাস্যকর কোন ব্যপার নয়। ডায়রিয়া, বমিবমি ভাব ও পেটে খিল ধরার সমস্যা কারণে এমন হতে পারে। বিভিন্ন কারণে বদহজম বা পেট খারাপের বা পেট নামার সমস্যা হতে পারে। পচা বা বাসি খাবারের থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এমন কিছু খাবার আছে যা সত্যিকার ভাবেই পেট নামার সমস্যা ঠিক করতে পারে। সেই খাবার গুলো হল :

১। কলা

চূড়ান্ত শক্তি বৃদ্ধিকারী কলাতে হার্টের জন্য উপকারি পটাসিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে। কলা হজম সহায়ক যা পেটের পিড়া সৃষ্টি করেনা। কলাতে পেক্টিন থাকে যা অন্ত্রের বর্জ্য নিষ্কাশনে সহায়তা করে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে কলা খান। যারা ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন তাদের শক্তি বৃদ্ধিকারী কলা খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

২। পেঁপে

উদরকে শান্ত করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল পেঁপে। পেঁপে খেলে পরিপাক উৎসাহিত হয়, বদ হজম দূর হয় এবং কোষ্ঠ কাঠিন্যতা ও দূর করে। পেঁপের এই যাদুকরী গুনের কারণ হচ্ছে পেঁপেতে উপস্থিত পাপাইন ও সাইমোপাপাইন নামক এনজাইম যা প্রোটিন ভাংতে সহায়তা করে এবং পাকস্থলিতে স্বাস্থ্যকর এসিডিক পরিবেশ সৃষ্টি করে উদরকে শিথিল করে।

৩। সাদা ভাত

যখন আপনার উদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তখন সাদা খাদ্য গ্রহণ সবচেয়ে উপযুক্ত, যেমন- সাদা ভাত, টোস্ট অথবা সিদ্ধ আলু ইত্যাদি। এই খাবার গুলো ডায়রিয়ায় আরাম দিতে সাহায্য করে।

৪। আদা

অসংখ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, আদা সার্বিক ভাবে হজম সহায়ক এবং বমি বমি ভাবের প্রতিকার করতে পারে। আদা চা বা আদার টুকরা চিবিয়ে খেলে ভারী খাবার হজম হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ব্যথা ও গতির সমস্যা দূর করে আদা।

৫। আপেলসস

কলার মত আপেল ও পেক্টিনের চমৎকার উৎস যা ডায়রিয়ার উপসর্গ কমাতে সক্ষম। যদি আপনি পেটের পীড়ায় ভোগেন তাহলে আপেল খাওয়ার পরিবর্তে আপেলসস খান। কারণ রান্না করা আপেল অনেক বেশি সজম সহায়ক।

৬। দই

বেশিরভাগ দুগ্ধ জাতীয় খাবার পেটের পীড়ার জন্য ক্ষতিকর কিন্তু এক বাটি প্লেইন ইয়োগারট ঠিক তার উল্টোটা করবে। দই অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি করে, পেট ফাঁপা দূর করে ও হজমে সহায়তা করে। শরীরের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য অরগানিক দই গ্রহণ করুন।

৭। হারবাল চা

মেন্থল বা ক্যামোমিল চা এর নিরাময় ক্ষমতা পেটের সমস্যায় স্বস্তি দিতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, মেন্থল কোলনের ব্যথা কমাতে সক্ষম। এর পাশাপাশি আইবিএস এর সমস্যাও সহজ করতে পারে মেন্থল এবং এটি বমি বমি ভাব দূর করতে পারে।

পেটের পীড়ায় বিশেষ করে ডায়রিয়ার সময় শরিরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করুন।



মন্তব্য চালু নেই