পেট্রোলবোমায় দগ্ধদের ২ জন আশঙ্কাজনক

কুমিল্লার চান্দিনায় বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের উপদেষ্টা অঞ্জন দেব ও রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের শিক্ষক রঞ্জিত শর্মাকে নিবীড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার দুপুরে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্র জানান, দুইজনের মধ্যে অঞ্জন দেবের শরীরের ৪৪ ভাগ ও রঞ্জিত শর্মার ২৬ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অঞ্জন দেবের ভাই রঞ্জন দেব বলেন, ‘আমাদের বাবা দুলাল দেব কিছুদিন আগে মারা গেছেন, মা স্বরসতী দেব অনেক অসুস্থ। অসুস্থতার খবর পেয়ে মাকে দেখার জন্য দাদা রাঙামাটি যাচ্ছিলেন।’

রঞ্জিত শর্মার নিকটাত্মীয় দিলীপ কুমার বিশ্বাস জানান, রঞ্জিত সম্প্রতি এলপিআরে গিয়েছেন। কিছু কাগজপত্রের জন্য তিনি ঢাকা এসেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার ইউনিক পরিবহণের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আরেকজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। তার নাম সুমন চন্দ্র নাথ। বাবা সুনীল চন্দ্র নাথ। সুনীল চন্দ্র জানান, সুমন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি টেক্সটাইল মিলে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত। তিনি রাঙামাটি যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সুমন আমাকে জানিয়েছে, বাসের সামনের দিক থেকে কেউ কিছু একটা ছুঁড়ে মারল। এ সময় তার গায়ে তরল কিছু পড়ে আগুন ধরে যায়।’

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আইসিইউতে যাদের নেওয়া হয়েছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালী সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।’

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা গেট ও পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্রের সামনে ইউনিক পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে সাত জন দগ্ধ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর বাকিদের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই