পেট স্লিম রাখার ৯ টি উপায়

মেয়েদের শরীরে মেদ অনেক সহজেই জমে। বিশেষ করে ৩০-৩২ বছর বয়সে মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই মেদ জমে। এই মেদ প্রথমত প্রকট হয় পেটে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানী করে তা নয়, শরীরে যে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধছে তাও নির্দেশ করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ ইঞ্চির বেশি পেট এর সাইজ থাকলে হার্ট এর অসুখ, ডায়বেটিস হতে পারে।
পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে এক জিনিস ভাবলে ভুল করবেন। পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে স্লিম থাকার ৯ টি উপায় দেওয়া হলো।

১। কোন পরিশ্রম ছাড়া আমরা যেই কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহন করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহন ও নি:শ্বাস ত্যাগ করা পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম।

২। প্রচুর আমিষ (প্রোটিন) সমৃদ্ধ খাবার যেমন-মাছ, ডাল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খান। প্রোটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়। চর্বি জাতীয় খাবার থেকে সবসময় দুরে থাকুন।

৩। তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। তবে মধু ব্যবহার আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

৪। যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে তাহলে আরেকবার ভাবুন। কারণ অসময়ের ঘুম শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। পেটে চর্বি জমার প্রবণতা প্রায় ৫গুন বৃদ্ধি পায়।

৫। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। যে জায়গাগুলোতে হেঁটে যাওয়া সম্ভব সেখানে রিকশায় না উঠার চেষ্টা করুন। হাঁটাই সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম। এছাড়াও ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম যদি নিয়মিত করতে পারেন তাবে এগুলো আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে। যেমন ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্‌, বার-পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, পুশ-আপস্‌, চেয়ার ডিপস্‌ ৩০ সেকেন্ড করে দিনে ৪-৫ বার করে দেখুন।

৬। টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি কারনিটিন নামক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরী করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।

৭। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি শরীরের টক্সিন বা বিষকে বের করে দিয়ে মাংসপেশী গঠনেও সাহায্য করে।

৮। মেদ কমাতে গিয়ে খাওয়াটা একেবারে কমিয়ে দেওয়া ঠিক না। এতে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ঢালাওভাবে সব খাবার না কমিয়ে প্রথমে তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার কমান, এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবার কমাবেন। তবে অবশ্যই তা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত।

৯। ধূমপান ও মদ্যপান শরীরে চর্বি পোড়াতে বাঁধা দিয়ে মেদ জমাতে সাহায্য করে। তাই এসব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।



মন্তব্য চালু নেই