পৌর নির্বাচনে প্রচারণা: পারবেন না হাসিনা, পারবেন খালেদা

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচারণায় যেতে পারবেন না। এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও প্রচারণায় যেতে পারবেন না। কারণ তারা সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, আচরণবিধিতে তাদের প্রচারণায় যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আচরণবিধিতে দলীয় প্রধানের প্রচারণায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন বা সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হন, তবে প্রচারণায় যেতে পারবেন না।

দশম সংসদ নির্বচনে দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদে থেকেই প্রচারণা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচন বলেই সে সুযোগ রাখা হয়নি।

গত সোমবার (৩০ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং সাংবাদিকদের বলেন, আইনে এ বিষয়টি বলা হয়েছে।

তবে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, আইনে যা বলা থাকে তার ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে প্রচারণায় যেতে পারছেন না।

এক্ষেত্রে দলীয় প্রধান হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রচারণায় যাওয়ার কোনো বাধা নেই। কেননা, তিনি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন।

নির্বাচন আচরণবিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য (এমপি) এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।

এদিকে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানও নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারছেন না। কেননা, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। পদটি লাভজনক ও মন্ত্রীদের সম-পদমর্যাদার।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এবারই দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে কোনো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে কেবল মেয়র পদে। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি।



মন্তব্য চালু নেই