পৌর নির্বাচন: প্রচার শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে

পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগেই শেষ হবে সব ধরণের প্রচারণা। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি নির্ধারণে ভোটের অপেক্ষায় রয়েছেন ভোটাররা। আর একদিন পর বুধবার এসব পৌরসভায় একযোগে ভোট হবে। এ উপলক্ষে ওই দিন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাত বছর পর এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্তত ১৯টি রাজনৈতিক দল নিজস্ব প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মেয়র পদে ৯৪৫ জনসহ মোট ১২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ সকাল থেকে মাঠে নামছেন পুলিশ, এপিবিএন, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের লক্ষাধিক সদস্য। তারা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় টহল দেবেন। এছাড়াও মাঠে থাকছেন ১ হাজার ২০৪ জন নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া আজ মধ্যরাতের মধ্যে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৮ তারিখ মধ্যরাত থেকে সব পৌরসভাতে বহিরাগতদের অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একইভাবে রবিবার মধ্যরাতের পর থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ১২ ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে।

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন উপলক্ষে পুরো প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ ডিসেম্বর উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৪ দিনের জন্য মাঠে নামবে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেয়া হবে। পৌর এলাকাগুলোর মোড়ে মোড়ে বসানো হবে নিরাপত্তা চৌকি। নিয়মিত চলবে র‌্যাব ও বিজিবির টহল।



মন্তব্য চালু নেই